আজকাল ওয়েবডেস্ক: লর্ডস টেস্টে তৃতীয় দিনের শেষ ওভারে ঘটে যাওয়া নাটকীয় ঘটনার বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন ভারতীয় ব্যাটার কেএল রাহুল। ইংল্যান্ডের ওপেনার জ্যাক ক্রলির সময় নষ্ট করার কৌশল ঘিরে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল, তারই প্রতিক্রিয়ায় রাহুল জানান, ‘একজন ওপেনার হিসেবে আমি বুঝতে পারি ও কী করতে চাইছিল’। ম্যাচের তৃতীয় দিন ভারতের প্রথম ইনিংস ৩৮৭ রানে শেষ হওয়ার পর ইংল্যান্ড ওপেনাররা মাঠে নামেন দিনের শেষ কয়েক মিনিটের জন্য। সেই সময়ে জ্যাক ক্রলি বারবার খেলা শুরু করতে দেরি করতে থাকেন, উদ্দেশ্য ছিল যেন কেবল একটি ওভারই খেলা হয়।
ভারতের উদ্দেশ্য ছিল, খেলা শেষ হতে বাকি ছ’মিনিট এবং অন্তত দু’ওভার বল করানো যে কোনও ভাবে। সেই পরিস্থিতিতে ক্রলির এই নাটক করার ঘটনা ভারতের ফিল্ডারদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে। শেষ ওভারে ক্রলি হঠাৎ করে দলের ফিজিওকে ডাকেন, তখন ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল তাঁর দিকে এগিয়ে গিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। গিলকে পরে ইংল্যান্ড ওপেনারের দেরি করার কৌশল নিয়ে ঠাট্টা করতেও দেখা যায়। এই পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে কেএল রাহুল বলেন, ‘শেষ ওভারে যা ঘটেছে তা খেলারই অঙ্গ। একজন ওপেনারের দৃষ্টিকোণ থেকে আমি ঠিক বুঝতে পারি কী হচ্ছিল। সবাই জানে কী চলছিল। একজন ওপেনার পুরোপুরি বুঝবে কেন শেষ পাঁচ মিনিটে এমনটা হল’।
আরও পড়ুন: 'ভারতের প্রতি কোনও সহানুভূতিই নেই', প্রবল সমালোচিত শুভমান গিলের ভারত, কিন্তু কেন?
গিলের আগ্রাসী প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাহুল বলেন, শেষ দু’দিনের মঞ্চ তৈরি। এই দু’দিনই ম্যাচের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। দুই দলই আবার নতুন করে শুরু করবে। তিন দিন ধরে কঠিন লড়াইয়ের পর দু’দলই এক জায়গায়। আমরা এমনিতেই চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে আরও বেশি উদ্যমে নামতাম’। তৃতীয় দিনের শেষে ম্যাচ ছিল ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ২ রান করে বিনা উইকেটে খেলা শেষ করে, জ্যাক ক্রলি ২ ও বেন ডাকেট ০ রানে অপরাজিত ছিলেন। এর আগে, ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৮৭ রান তোলে, যার প্রধান স্থপতি ছিলেন কেএল রাহুল। তিনি ১৭৭ বলে ১০০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ভারতের ইনিংসে শক্ত ভিত গড়ে দেন।
আরও পড়ুন: পিএসজি না চেলসি, ক্লাব বিশ্বকাপে শেষ হাসি কার জন্য তোলা? হাইভোল্টেজ ফাইনাল জবাব দেবে সব প্রশ্নের ...
এই শতরান তাঁকে লর্ডসে একাধিক টেস্ট সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে চিহ্নিত করল, এর আগে কেবল দিলীপ বেঙ্গসরকরই এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। রাহুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ঋষভ পন্থ ১১২ বলে ৭৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। চতুর্থ উইকেটে তারা ১৪১ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন। তবে লাঞ্চের ঠিক আগে বেন স্টোকসের নিখুঁত থ্রোয়ে রানআউট হয়ে যান পন্থ। এরপর, রবীন্দ্র জাডেজা ১৩১ বলে ৭২ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলে শেষের দিকে ফের বড় পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে যান।
