সংবাদসংস্থা মুম্বই: সইফ আলি খানের উপর হামলা হওয়ায় তটস্থ বি-টাউন।‌ যেদিন সইফের উপর আক্রমণ হয়, সেদিন নাকি নৈশপার্টিতে মত্ত ছিলেন করিনা। এই খবর ছড়িয়েছিল প্রথমে। যদিও পরে তদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, সেদিন সইফ-করিনা একসঙ্গেই বাড়িতে ছিলেন। তবুও স্বামীর উপর হামলা হওয়ায় নিজের দৈনন্দিন জীবনযাপনেও পরিবর্তন এনেছেন বেবো।

 


একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, মুম্বইয়ে এই ধরনের ঘটনা খুব কমই শোনা যায়, যেখানে আমেরিকায় এই ধরণের ঘটনা বেশি দেখা যায়। তিনি এখনও এই ঘটনার সঙ্গে পুরোপুরিভাবে মানিয়ে নিতে পারেননি। এমনকী ঘটনার প্রথম কয়েক মাস তিনি খুব অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলেন। ঘুমোতে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছিল করিনাকে। 

এবার জানা যাচ্ছে, শুধু সইফের উপর হামলা নয়, করিনাকেও মারার চেষ্টা করা হয়েছিল! অভিনেতা রণিত রায় এই বিষয়েই চাঞ্চল্যকর এক মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, সইফের উপর হামলার পর, করিনা কাপুরের গাড়িতেও হামলা করা হয়েছিল। 

আরও পড়ুন: ছ'বছর ধরে যৌনপল্লীতে রাত কাটিয়েছেন! প্রকাশ্যে এল জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারের গোপন কেচ্ছা 


রণিত একজন অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি একটি নিরাপত্তা সংস্থাও চালান। যখন সইফের উপর আক্রমণ করা হয় এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন তাঁর কোম্পানি সইফকে নিরাপত্তা দিয়েছিল। এরপর যখন সইফ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান, তখন রণিত নিজেই তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনি বলেন, "সেদিন যা ঘটেছিল তা এখনও সকলের হয়তো মনে রয়েছে। আমি যখন বেবোর সঙ্গে কথা বলেছিলাম এবং সইফ হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন বাড়িটি দেখতে গিয়েছিলাম, তখন হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি খুব সাধারণ কিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম, কিন্তু তার কোনওটিই বাস্তবায়িত হয়নি।" 

 

তিনি আরও বলেন, "হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সইফ যখন বাড়ি ফিরছিল, তখন চারদিকে থিকথিক করছিল ভিড়। বাড়ি ফেরার সময়ে, করিনার গাড়িতেও আক্রমণ করা হয়েছিল। তখন ও খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল। আমি ওকে নিতে গিয়েছিলাম, এবং বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও তৈরি ছিল, এবং পুলিশ বাহিনীর কাছ থেকেও সাহায্য পাওয়া গিয়েছিল। যদিও কে বা কারা করিনার গাড়ির উপর চড়াও হয়েছিল, তা জানা যায়নি।"

 


প্রসঙ্গত, সইফের উপর হামলার পর থেকে বদল এসেছে পাতৌদি পরিবারের জীবনযাত্রায়। দুই ছেলে তৈমুর ও জেহ-কে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরা থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সইফ-করিনা। বেড়েছে তাঁদের নিরাপত্তাও। ঘটনার প্রভাবে এখনও আতঙ্কে থাকেন করিনা। 

 

ঘটনার পর এক সাক্ষাৎকারে করিনার বলেন, "সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, বুঝতে পেরেছি যে স্মৃতি ক্রমশ ম্লান হয়ে যাচ্ছে। যখন আপনি চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখবেন, তখন আপনি কখনই সত্যিই তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন না। মাসের পর মাস ঘুমোতে পারতাম না রাতে। চিন্তা হত দুই সন্তানের জন্য। এত অল্প বয়সে বাড়িতে এমন একটা কাণ্ডে দেখেছে তারা, কী প্রভাব পড়বে তাঁদের শিশুমনে, সেই নিয়ে চিন্তা হতো সব সময়। বর্তমানে মাসে ১০-১৫ দিনের বেশি কাজ করি না। এমনকী নৈশ পার্টিতে যাওয়াও ছেড়ে দিয়েছি একেবারে। পরিবারকে সময় দিই, আর সুস্থ জীবনযাপনের চেষ্টা করি।"