আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্বে সরাসরি। দুই দেশের যুদ্ধ আবহে আমেরিকার হামলা এবং ইরানের সিদ্ধান্তের পরেই বেড়েছে তেলের দাম। 

ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুঁশিয়ারি দিতেই দু’ শতাংশের বেশি হারে বেড়ে গিয়েছে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম। রবিবার রাতেই আমেরিকার শেয়ারবাজারে তেলের ফিউচার দাম বেড়েছে তরতরিয়ে। 

তথ্য, আমেরিকায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ২.৮ শতাংশ বেড়ে গিয়ে, এক ধাক্কায় প্রতি ব্যারেলের দাম ৭৫.৯৮ ডলার। দাম বেড়েছে ব্রেন্টের। ২.৭ শতাংশ বেড়ে ব্রেন্ট তেলের দাম হয়েছে ৭৯.১২ ডলার। চলতি বছরে, জানুয়ারির পর থেকে জুনের শেষে এটাই তেলের সর্বোচ্চ দাম। বিশেষজ্ঞদের মত, দাম ভবিষ্যতে বাড়বে আরও। তাতে দুই দেশের যুদ্ধ আবহে আরও তীব্র হবে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির সংকট। 

উল্লেখ্য, ইরান বিশ্বের নবম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ। দৈনিক উৎপাদন প্রায় ৩.৩ মিলিয়ন ব্যারেল। তেহরান এই তেলের প্রায় অর্ধেক রপ্তানি করে এবং বাকিটা অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য রাখে। হরমুজ প্রণালী মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও গ্যাস রপ্তানির মূল পথ—বিশ্বের দৈনন্দিন জ্বালানি সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ এখান দিয়ে যায়। মাত্র ৩৩ কিলোমিটার চওড়া এই প্রণালীতে জাহাজ চলাচলের নির্ধারিত পথ মাত্র ৩ কিলোমিটার। আর ঠিক সেই কারণেই ইরানের সিদ্ধান্তে কপালে চিন্তার ভাঁজ বিশ্ব বাজারের। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ইরানের পার্লামেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে—বিশ্বের অন্যতম কৌশলগত জলপথ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করা হবে। রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত প্রেস টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন যুদ্ধবিমান ইরানের ফোর্দোসহ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর এই প্রস্তাব গৃহীত হয়। তবে এখনই প্রণালী বন্ধ হচ্ছে না; সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার জন্য ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ, সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল-এর অনুমোদন প্রয়োজন। এই সিদ্ধনাত কার্যকরী হলে, বড় সংকট তৈরি হবে মধ্য প্রাচ্যে।