আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেঙ্গালুরুকে যানজট মুক্ত করতে শহরে ইতিমধ্যেই বাইক ট্যাক্সি নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতেও বিন্দুমাত্র দমেনি বেঙ্গালুরুবাসী। ওই যে কথায় আছে না, ‘ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়’। তারই এক অনন্য নিদর্শন দেখা গেল এবার বেঙ্গালুরুতে। শহরের যানজট ও রাস্তার বেহাল অবস্থার সঙ্গে লড়াই করা যাত্রীদের এই অভাবনীয় উপায় আবারও প্রমাণ করল ভারতবাসীর সৃজনশীলতা ঠিক কতটা উদ্ভাবনী হতে পারে। হিন্দিতে একটা শব্দ ‘জুগাড়’ বলে। যার অর্থ কিছুটা ‘অপ্রচলিত কিন্তু কার্যকরী সমাধান’-তারই এক দুর্দান্ত নজির দেখা গেল বেঙ্গালুরুতে।

বাইক ট্যাক্সি সংস্থা র্যা পিডোর ‘ট্যাক্সি’ পরিষেবা নিষিদ্ধ হওয়ার পর তার জায়গায় চালু করেছে এক নতুন পরিষেবা। আর সেই পরিষেবাতেই নিজেদের ‘পার্সেল’ হিসেবে চিহ্নিত করে অফিস যাচ্ছেন যাত্রীরা। এই অভিনব পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞা। আদালত জানিয়ে দেয়, র্যা পিডো, ওলা ও উবেরের মতো সংস্থার বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা ‘অবৈধ’। জানানো হয়, বাইক ট্যাক্সির বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম প্রণয়ন করা হয়নি। পরবর্তী শুনানির হবে ২৪ জুন। এই পরিস্থিতিতে র্যাকপিডো তাদের অ্যাপে ‘বাইক রাইড’ অপশন বাদ দিয়ে চালু করেছে ‘বাইক পার্সেল’ পরিষেবা।

আর শহরের মানুষ নিজেদের পণ্য হিসেবেই বুক করে উঠে পড়ছেন গাড়িতে। এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নেটমাধ্যমে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একজন এক্স ব্যবহারকারী ধনভি মজার ছলে লেখেন, ‘আজ থেকে কর্নাটকে বাইক ট্যাক্সি নিষিদ্ধ। কিন্তু র্যা পিডোর প্রোডাক্ট ম্যানেজার এই আইনকে চমৎকারভাবে পাশ কাটিয়ে দিয়েছেন। রাইড বুক করতে পারছ না? চিন্তা নেই, নিজেকেই পার্সেল করে অফিস চলে যাও। এই পরিষেবার নামই হওয়া উচিত PAAS। যার পুরো নাম ‘প্যাসেঞ্জার অ্যাজ অ্যা সার্ভিস’। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ভাইরাল হতেই অনেকেই র্যা্পিডোর কৌশল এবং সাধারণ মানুষের উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে। অনেকে বলছেন, ‘আইন যেখানে শেষ, জুগাড় সেখান থেকেই শুরু’!