আজকাল ওয়েবডেস্ক: তামিলনাড়ুর তিরুভাল্লুর জেলায় এক ভয়াবহ নৃশংস ঘটনার সামনে এসেছে। মধ্যপ্রদেশ থেকে আসা এক পরিযায়ী শ্রমিককে কাস্তে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে আক্রমণ করেছে চারজন নাবালক। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শ্রমিক বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। হামলার সম্পূর্ণ ঘটনাটি অভিযুক্তরাই মোবাইলে রেকর্ড করে, যা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় এবং ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

আহত শ্রমিকের নাম সিরাজ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত একটি চলন্ত ট্রেনে। সিরাজ ট্রেনে যাত্রার সময় চার নাবালক তাকে ঘিরে ধরে কাস্তে ও তলোয়ার জাতীয় অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখাতে শুরু করে। সেই মুহূর্তেই তারা মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ড করছিল। প্রথমে ভয় দেখানো হলেও পরিস্থিতি দ্রুত হিংসাত্মক রূপ নেয়।

অভিযোগ, পরে সিরাজকে জোর করে একটি রেলস্টেশনের কাছে নির্জন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কাস্তে দিয়ে একের পর এক কোপানো হয় তাকে। হামলার সময়ও ভিডিও রেকর্ড চলতে থাকে। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, কীভাবে একেবারে নিরস্ত্র সিরাজের ওপর লাগাতার আঘাত করা হচ্ছে। আরও চাঞ্চল্যকর বিষয় হল হামলার পর অভিযুক্তদের একজন ক্যামেরার দিকে ‘ভিক্টরি সাইন’ দেখায়, যা গোটা ঘটনার নিষ্ঠুর মানসিকতার দিকটি আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।

এই নৃশংস হামলায় সিরাজের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়েছে। তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা সংকটজনক এবং কড়া  পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরই তামিলনাড়ু পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত চারজন যে নাবালক, তা প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। কী কারণে এই হামলা, এর পেছনে কোনও সংগঠিত অপরাধচক্র বা বিদ্বেষমূলক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঘটনাটি সামনে আসতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন মহল থেকে এই বর্বরতার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে এবং খুব শিগগিরই আরও বিস্তারিত তথ্য সামনে আনা হবে।