আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেয়ের কাছে যাচ্ছিলেন। জানিয়েছিলেন ‘আসছি’। কিন্তু আর যাওয়া হয়নি। এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানের কয়েক মিনিটেই যে বিপর্যয়, তাতে বিমানের আরও ২৪০ যাত্রীর মতোই প্রাণ গিয়েছে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির। বৃহস্পতিবারেই তা নিশ্চিত করা গিয়েছিল।
প্রথম থেকেই রূপানির পরিবার যোগাযোগ রেখেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। ঝলসে যাওয়া দেহ শনাক্ত করার জন্য যাত্রীদের পরিবার থেকে চাওয়া হয়েছিল ডিএনএ নমুনা। ইতিমধ্যেই তিরিশের বেশি নমুনা মিলেছে যাত্রীদের সঙ্গে। অপেক্ষা আহমেদাবাদের হাসপাতালে।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রেখবর, রবিবার রূপানির পরিবারের তরফে দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলে যাওয়ার পর, তাঁর দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ চিকিৎসকেরা জানান, দেহ শনাক্তের বিষয়টি। গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ৩২জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে বলে খবর সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। ১৪ জনের দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যাঁদের দেহ এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা গিয়েছে, তাঁরা গুজরাট এবং রাজস্থানের বাসিন্দা।
মৃত্যুপুরী আহমেদাবাদ। আত্মীয়রা এখনও অপেক্ষা করছেন দেহের। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিমান দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ২৭০ পার। শনিবার মৃত্যু হয়েছে আরও বেশ কয়েকজনের। কেউ ওই ছাত্রাবাসের পড়ুয়া, কেউ কর্মরত কর্মী। জানা গিয়েছে আহমেদাবাদ দমকল পরিষেবার আধিকারিকেরা গত ২৪ ঘণ্টায় ঘটনাস্থল এবং ওই হোস্টেলের ক্যান্টিন থেকে দেহ, দেহাংশ উদ্ধার করেছেন।
