আজকাল ওয়েবডেস্ক: "সবার মন ছিল ছোট, আমার দরকার ছিল বড় হৃদয়ের মানুষ!"—এই দাবি করে এক মহিলা আমেরিকায় ২৩টি বিয়ে করে তোলপাড় তৈরি করেছেন। স্থানীয় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলেও, তাঁর যুক্তি—"প্রতিটি স্বামীর মন এতই সংকীর্ণ যে, একজন নারীর সমস্ত ভালোবাসা ধারণ করতে পারেনি!"
লিন্ডা কার্টার (৩৭) নামের এই নারী দাবি করেন, তিনি কখনোই প্রতারণা করেননি, বরং প্রতিবারই নতুন স্বামীর কাছে স্বচ্ছ ছিলেন। "আমি বলতাম, 'তোমার মন যদি আমার জন্য যথেষ্ট বড় না হয়, তাহলে আমি আরেকটি বাড়ি খুঁজব!'" তাঁর মতে, আমেরিকান পুরুষদের "অন্তরাত্মা অতিরিক্ত সংকীর্ণ," তাই একাধিক বিয়ে করা তাঁর ন্যায্য অধিকার! পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী, লিন্ডা বিভিন্ন রাজ্যে ২৩টি আলাদা নামে বিয়ে করেছেন। কিছু স্বামী জানতেন না যে তিনি আরও ২২ জনের সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ! তবে লিন্ডার পাল্টা যুক্তি—"যদি কেউ আমার ভালোবাসার ভার বইতে না পারে, তাহলে সেটা তাদের দুর্বলতা!"
এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেক নারী লিন্ডার সমর্থনে #SmallHeartedMen হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন—"এটা শুধুই ফ্রড!" মনোবিজ্ঞানীরা এটিকে "অতিরিক্ত ভালোবাসার ক্ষুধা" বলে অভিহিত করলেও, লিন্ডার ফ্যান ক্লাব ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে! আমেরিকায় বহুবিবাহ অবৈধ, তাই লিন্ডার বিরুদ্ধে মামলা নিশ্চিত। তবে আদালতে তাঁর জবাব—"আইনও কি মানুষের হৃদয়ের মতোই ছোট?" তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, লিন্ডা "প্রেমের সমান বণ্টন" নিয়ে একটি সোশ্যাল এক্সপেরিমেন্ট করছিলেন!
২৩ জন স্বামী, কিন্তু কারো মনই যথেষ্ট বড় নয়!"—লিন্ডার এই মামলার রায় এখন সারা বিশ্বের জন্য একটি প্রেম-দর্শনের প্রশ্ন রেখে গেল!
