আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের মণ্ডপে হাজির পাত্রের প্রাক্তন প্রেমিকা। শুভেচ্ছা জানিয়েই পাত্রকে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা। তাতেই ঘটে বিপত্তি। বিয়ের আসরে সকলের চোখের সামনেই পাত্রের প্রাক্তন প্রেমিকাকে চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর করেন পাত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায়। এক বিয়ের মণ্ডপের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিয়ের আসরে হাজির হয়েছিলেন পাত্রের প্রাক্তন প্রেমিকা। নবদম্পতির সঙ্গে দেখা করতেই এসেছিলেন। শুভেচ্ছা জানিয়ে সেই বিয়ের মণ্ডপে পাত্রকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি।
জানা গেছে, পাত্রের প্রাক্তন প্রেমিকা তাঁর হাতে চুমু খেতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তাও আবার বিয়ের মণ্ডপে। তা দেখেই পাত্রের প্রাক্তন প্রেমিকার চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর করেন পাত্রী। এমনকী চুলের মুঠি ধরেই তরুণীকে বিয়ের মণ্ডপ থেকে সরিয়ে নিয়ে যান পাত্রী।
বিয়ের সাজে পাত্রীর এহেন রণংদেহি মূর্তি দেখেই নেটিজেনদের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে। ভিডিওটি ইতিমধ্যেই হাজার হাজার মানুষ দেখেছেন। একজন লিখেছেন, 'উচিত শিক্ষা দিয়েছেন পাত্রী'। আরেকজন লিখেছেন, 'বিয়ের দিন প্রাক্তন প্রেমিকার এমন আচরণ কেউই সহ্য করতে পারবেন না।'
গত মে মাসে প্রাক্তন প্রেমিকার কথা মনে পড়তেই এক পাত্র বিয়ে ভেঙে দিয়েছিলেন। ধুমধাম করে বিয়ের আসর বসেছিল। হুল্লোড়ে মেতেছিলেন আত্মীয় থেকে আমন্ত্রিতরা। বিয়ের অর্ধেক আচার-অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয়েও গিয়েছিল। ছ'পাক ঘোরার পর হঠাৎ একটি ফোন আসে পাত্রের ফোনে। এরপরই গাঁটছড়া খুলে ফেলেন তিনি। সাতপাক ঘোরার ঠিক আগের মুহূর্তে জানিয়ে দেন, এই বিয়ে তিনি করবেন না। যা ঘিরে তুমুল শোরগোল গোটা বিয়েবাড়িতে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের করৌলী জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার নাদোতি তালুকে বিয়ের আসরটি বসেছিল। চোখধাঁধানো আয়োজন ছিল সেখানে। ছ'পাক ঘোরার পর পাত্র কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এরপরই জানিয়ে দেন, তিনি বিয়ে করবেন না। পাত্রের এহেন আচরণে প্রথমে হকচকিয়ে যান সকলে। পাত্রীও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
দু'পক্ষের মধ্যে অশান্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, পাত্র, তাঁর বাবা ও কয়েকজন আত্মীয়কে আটকে রাখে পাত্রীর পরিবার। বিয়েতে ৫৬ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন তাঁরা। পাত্রের শেষমুহূর্তের সিদ্ধান্তে আর্থিক ক্ষতি থেকে মানহানিও হয়েছে তাঁদের। সেই ক্ষতিপূরণের দাবি করেন সকলে।
শেষমেশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পঞ্চায়েত সদস্য, পুলিশ মধ্যস্থতার চেষ্টা করে। কিন্তু তারপরেও অশান্তি থামেনি। পাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, সম্ভবত ছ'পাক ঘোরার পর পাত্রকে তাঁর প্রেমিকা ফোন করেছিলেন। সেই ফোন পেয়েই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর আর সাতপাক ঘোরেননি।
