আজকাল ওয়েবডেস্ক: চেরি টক-মিষ্টি এক ফল, দেখতে যেমন মন ভোলানো, গুণেও ঠিক ততটাই উপকারী। গ্রীষ্মের শুরুতেই বাজারে লালচে আভায় নজর কাড়ে এই ছোট ফলটি। কিন্তু চেরি শুধু স্বাদের নয়, স্বাস্থ্যের দিক থেকেও প্রকৃতির দেওয়া এক আশীর্বাদ। বিশেষজ্ঞদের মতে, চেরির ক্ষারীয় গুণ ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।

চেরি শরীরের অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আজকালকার ব্যস্ত জীবনযাত্রা, ধূমপান, দূষণ, প্রক্রিয়াজাত খাবার, এই সবই শরীরের ভিতরে অম্ল পরিবেশ তৈরি করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই অবস্থা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ঠিক এই জায়গাতেই সাহায্য করে চেরি। ক্ষারীয় প্রকৃতির এই ফল শরীরের পিএইচ অর্থাৎ অম্ল ক্ষারের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে, যা ক্যানসার প্রতিরোধের বড় অস্ত্র।

চেরির মধ্যে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি উপাদান দেহের জ্বালা বা ফোলা ভাব কমাতে বিশেষ কার্যকর। বাত, গেঁটেবাত, এমনকি পেশির ব্যথা বা খেলার থেকে প্রাপ্ত আঘাত এই সবেতেই চেরির রস উপশম হিসাবে কাজ করে। নিয়মিত চেরি খেলে প্রদাহ কমে এবং ব্যথা দূরে থাকে।

চেরিতে থাকে পটাশিয়াম ও ফ্ল্যাভোনয়েড, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ থেকে হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের সম্ভাবনা যেমন বাড়ে, তেমনই তা নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদপিণ্ড থাকে সুস্থ। চেরি রক্তনালীর প্রদাহ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস করে।

চেরির মধ্যে মেলাটোনিন নামক এক উপাদান থাকে, এই হরমোন ঘুম আনার জন্য অত্যন্ত জরুরি। যাঁরা অনিদ্রায় ভোগেন, তাঁদের জন্য চেরি হতে পারে একটু সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন সমাধান। রাতে ঘুমোনোর আগে এক গ্লাস টাটকা চেরির রস শরীরকে ঠান্ডা করে ও ঘুমতে সাহায্য করে।