আজকাল ওয়েবডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে পাকিস্তানকে ফের কড়া বার্তা দিল ভারত। সেখানে ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানরা। তিন বাহিনীর সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিকল্পনার মূল সামরিক লক্ষ্যই ছিল সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত অপরাধী এবং পরিকল্পনাকারীদের শাস্তি দেওয়া এবং জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা।
তিনি বলেন, নিহতদের পরিবারের যন্ত্রণা অপরিসীম। পহেলগাঁওতে ২৬ জন নীরিহকে হত্যা করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের শাস্তি দিতেই অপারেশন সিঁদুর। সন্ত্রাসবাদ রুখতে ভারতের জিরো টলারেন্স ভূমিকা রয়েছে এবং থাকবে। পাকিস্তান ও পিওকে-তে জঙ্গি ঘাঁটি। ৯ টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। শুধুমাত্র জঙ্গি ঘাঁটিতেই হামলা করা হয়েছে। ধর্মীয় স্থানে হামলা চালায় পাকিস্তান। জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতেই অপারেশন সিঁদুর করা হয়েছিল।
ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলায় ১০০-র বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ইউসূফ আজ়হার, আব্দুল মালিক রাউফ এবং মুদস্সর আহমেদ। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে আইসি ৮১৪ অপহরণ এবং পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিও রয়েছে। তিনি বলেন, অপারেশন সিঁদুরে ১০০ জনের বেশি জঙ্গিকে ধ্বংস করা হয়েছে। সীমান্তের গ্রামে হামলা করে পাকিস্তান। তবে ভারত তার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। খুব সতর্কভাবে টার্গেট ঠিক করেছিল ভারতীয় সেনা। প্রতিটি জঙ্গি ঘাঁটিকে সঠিকভাবেই আঘাত করেছে ভারত। কোনও স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষতি করেনি ভারতীয় সেনা।
ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে বেশ কিছু জনবহুল গ্রাম এবং গুরুদ্বারের মতো ধর্মীয় স্থানে আঘাত করার চেষ্টা করে। বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল একে ভারতী সাংবাদিক বৈঠকে বহাওয়ালপুরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের দৃশ্য তুলে ধরেন। এর পাশাপাশি মুরিদকের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা পরবর্তী দৃশ্যও প্রকাশ করা হয় সাংবাদিক বৈঠকে।
এয়ার মার্শাল ভারতী জানান, ৯-১০ মে’র রাতে ভারতীয় আকাশসীমার অভ্যন্তরে ড্রোন এবং বিমান প্রবেশ করিয়েছিল পাকিস্তান। তারা বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা করে কিন্তু সেগুলির মধ্যে বেশির ভাগই প্রতিহত করা হয়েছে। কিছু আছড়ে পড়লেও সেগুলিতে বড় ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে।
