আজকাল ওয়েবডেস্ক: ধ্বংস হয়ে গেছে মসজিদ, ধ্বংস হয়ে গেছে একাধিক এলাকা। এমনটাই অভিযোগ এনেছে পাকিস্তান। একাধিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানের পতাকায় মুড়ে শেষকৃত্য করা হয়েছে জঙ্গিদের। এত কিছুর পরেও নিজেরাই নিজেদের জয়ী ঘোষণা দিল পাকিস্তান। ভারত-পাক যুদ্ধ আবহের মাঝে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজেদের ‘জয়ী’ ঘোষণা করে দিলেন। উল্টে, সম্প্রতি সীমান্তে যা ঘটেছে সবকিছুর জন্য দায়ী করলেন ভারতকেই। 

ভাষণের শুরুতে শাহবাজ বলেন, ‘যদি কেউ আমাদের স্বাধীনতাকে চ্যালেঞ্জ করে, তবে আমরা দেশের প্রতিরক্ষার জন্য যেকোনও কিছু করতে প্রস্তুত’। পহেলগাঁওয়ের নৃশংস ঘটনায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগকে নাকচ করে দিয়ে তিনি জানান, ভারতের তরফে ‘ভিত্তিহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ অভিযোগ আনা হয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

গত কয়েক দিনের পরিস্থিতির উল্লেখ করে শরিফ বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ড্রোন হানা হয়েছে, মিসাইল চালানো হয়েছে, মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে এবং অনেকের প্রাণ গিয়েছে যার মধ্যে রয়েছে পাক সেনাও’। তাঁর দাবি, ভারতীয় সেনাই পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে যে কারণে আত্মরক্ষার্থে জবাব দিয়েছে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীও। জাতির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গোটা পাকিস্তান একজোট হয়েছে, আমরা এই সংঘাতে জয়ী হয়েছি’। পাক প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রশংসা করে নাম উল্লেখ করে কৃতজ্ঞতা জানান। 

পাশাপাশি, তাঁর কথায় এদিন উঠে আসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথাও। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে ‘যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি, শাহবাজ শরিফ ধন্যবাদ জানান চিন, সৌদি আরবকেও। কিন্তু ‘যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণার পরেও সীমান্ত এলাকায় টানা গোলা বর্ষণের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানানো হয়, ঘোষণার পরেও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান।

বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রির বক্তব্য, ‘আজ যে যুদ্ধবিরতির কথা হয়েছিল, শেষ কয়েক ঘণ্টায় তার লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনা উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে এবং এই সীমান্ত আক্রমণের সঙ্গে লড়ছে। এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর জন্য পাকিস্তান দায়ী। এই সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টার উপর পাকিস্তানের নজর দেওয়া উচিত। দ্রুত এর তদন্ত করা উচিত। ভারতীয় সেনাবাহিনী পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে। এইধরনের আক্রমণ রুখতে কঠোর পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে’। কিন্তু এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন নিয়ে মুখ খোলেননি পাক প্রধানমন্ত্রী।