বীরেন ভট্টাচার্য, দিল্লি:  করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করলেও, এখনই বুষ্টার ডোজের কোনও চিন্তাভাবনা নেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। তবে রাজ্যগুলিকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইনসাগগের আধিকারিকদের মতে, জেএন ১ সাব ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলেও এখনই চতুর্থ টিকার কোনও প্রয়োজন নেই। আরও বলা হয়েছে, যে সমস্ত ষাটোর্দ্ধ ব্যক্তির কোমোর্বিডিটিস এবং অন্যান্য সমস্যা রয়েছে, তাঁদের তৃতীয় ডোজ এখনও না নেওয়া হলে তা দ্রুত নেওয়া প্রয়োজন।

 ইনসাগগের বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্ত ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের মূল লক্ষণ জ্বর, কফ, ডায়েরিয়া, শরীরে ব্যথা। তবে সেগুলির কোনওটারই প্রকোপ মারাত্মক বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো নয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে পরীক্ষার ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, নতুন করে সারা দেশে ৬৩ জনের শরীরে জেএন১ সাব ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তারমধ্যে ৩৪ জন গোয়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বাকিদের মধ্যে ৯ জন মহারাষ্ট্র, কর্নাটকে ৮, কেরলে ৬, তামিলনাড়ু ৪ এবং তেলেঙ্গানার ২ জন রয়েছেন। নীতি আয়োগ স্বাস্থ্যের সদস্য ভিকে পল জানিয়েছেন, দেশের বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞরা এই নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে গবেষণা করছেন। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, এক্সবিবি১ কোভিড ভ্যারিয়েন্ট টিকার লাইসেন্সের চেষ্টা করছে তারা। এই ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে জেএন১ ভ্যারিয়েন্টের মিল রয়েছে বলে জানিয়েছে সিরাম। তাদের তরফে প্রবীণ নাগ‌‌রিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে চিন্তা বা উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট।