
শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্কঃ মে মাসের শুরুতেই এবার গরমের ছুটি পড়ছে বিভিন্ন সরকারি স্কুলে। আর গ্রীষ্মাবকাশ মানেই শহরের গরম ছেড়ে দূরে পাহাড়ের কোলে কোথাও ঘুরে আসার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে মন। তাহলে দেরি না করে গুছিয়ে নিন ব্যাগপত্তর, ঘুরে আসুন চেনা অচেনা মনোরম কিছু শৈলশহরে।
কল্পা কিন্নর
হিল স্টেশন বললেই দার্জিলিং-এর পর প্রথম যে জায়গাটির কথা মাথায় আসে তা হল শিমলা-কুলু-মানালি। অতি পরিচিত শিমলার অদূরেই রয়েছে এমন একটি স্থান যার সৌর্ন্দয্য স্বর্গের সঙ্গে তুলনা করা হয়। পর্যটনকেন্দ্রটির নাম কল্পা-কিন্নর। একদিকে বরফমাখা হিমালয়, অন্যদিকে নিঝুম পরিবেশের মাঝে পাহাড়ি এই গ্রামে কয়েকটা দিন কাটিয়ে এলে সেই অভিজ্ঞতা সারাজীবন মনে থাকবে।
কীভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে কল্পা যাওয়ার সরাসরি কোনও ট্রেন বা বাস নেই। প্রথমে কালকা যেতে হবে। সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেন কালকা মেল। সাধারণত প্রায় ২০-২৫ ঘণ্টা সময় নেয়। বিমানে গেলে চণ্ডীগড় গিয়ে সেখান থেকে সড়কপথে কালকা পৌঁছতে পারেন। কালকা থেকে শিমলা পর্যন্ত ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পাওয়া বিশেষ টয় ট্রেন চলাচল করে। এই পথে প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগে। প্রাকৃতিক শোভা মুগ্ধ করার মতো। কালকা থেকে শিমলার জন্য বাস এবং ট্যাক্সিও পাওয়া যায়। সড়ক পথে কমবেশি ৩-৪ ঘণ্টা সময় লাগে। শিমলা থেকে কল্পা যাওয়ার জন্য শিমলার আইএসবিটি থেকে কল্পার উদ্দেশ্যে সরাসরি হিমাচল প্রদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের বাস পাওয়া যায়। শিমলা থেকে কল্পার জন্য প্রাইভেট ট্যাক্সি বা জিপও ভাড়া করা যায়।
কোথায় থাকবেন
কল্পায় বিভিন্ন ধরনের হোটেল, গেস্ট হাউস এবং হোমস্টে রয়েছে। আগে থেকে বুকিং করে নেওয়া ভাল, বিশেষ করে পর্যটন মরসুমে। দ্য কিন্নর ভিলাস, হোটেল কিন্নর রিট্রিট, বানজারা রিট্রিট নামকরা হোটেল। এছাড়াও যাঁরা অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী তাঁদের জন্য বেশ কিছু ইকো রিসোর্ট এবং তাঁবু রয়েছে।
কী দেখবেন
কল্পা গ্রামটিই একটি দর্শনীয় স্থান। শান্ত ও সুন্দর পরিবেশ, আপেল বাগান এবং কিন্নর কৈলাস পর্বতের মনোরম দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত এই গ্রাম। কল্পা থেকে কিন্নর কৈলাস পর্বতের বরফাবৃত শৃঙ্গগুলির দৃশ্য খুবই আকর্ষণীয়। বিশেষ করে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় এই দৃশ্য আরও মনোরম হয়ে ওঠে। কল্পা থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত সুইসাইড পয়েন্ট একটি চমৎকার ভিউ পয়েন্ট। গভীর খাদ এবং চারপাশের প্রকৃতির দৃশ্য শ্বাসরুদ্ধকর। কাছেই আছে রোহি গ্রাম। এখানে আপেল বাগান এবং ঐতিহ্যবাহী কিন্নরী স্থাপত্য দেখতে পারেন। কল্পার কাছেই অবস্থিত আরও একটি জায়গা চিনি গ্রাম। এখানেও পুরনো মন্দির ও স্থাপত্য দেখা যায়। তবে কল্পা কিন্নর ঘুরতে গেলে কিছু এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা হতে পারে। তা ছাড়া কল্পায় সীমিত সংখ্যক এটিএম রয়েছে, তাই পর্যাপ্ত নগদ টাকা সঙ্গে রাখুন।
নৈনিতাল
গরমের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য জিম করবেটের স্মৃতিধন্য নৈনিতাল। আসলে তাল কথাটির অর্থ হ্রদ। নৈনি নামের একটি হ্রদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই শৈলশহর। হিন্দু ধর্মমতে সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম এটি। নৈনি হ্রদে সতীর একটি চোখ পড়ে বলে বিশ্বাস করেন স্থানীয়েরা। তাই অনেকেই তীর্থ দর্শনের জন্য এখানে যান।
কীভাবে যাবেন
বিমানে যেতে চাইলে নৈনিতালের নিকটতম বিমানবন্দর পন্তনগর, যা নৈনিতাল থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিমানবন্দর থেকে ট্যাক্সি বা বাসে নৈনিতাল যাওয়া যায়। ট্রেনে গেলে নিকটতম রেলস্টেশন কাঠগোদাম। স্টেশন থেকে নৈনিতালের দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। এছাড়াও দিল্লি, দেরাদুন, হরিদ্বার এবং অন্যান্য নিকটবর্তী শহর থেকে নৈনিতালের জন্য সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে।
কোথায় থাকবেন?
নৈনিতাল খুবই জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। এখানে সব বাজেটের হোটেল পাওয়া যায়। বিলাসবহুল হোটেলের মধ্যে রয়েছে দ্য নৈনি রিট্রিট, আইটিসি, পাইন ট্রি ইত্যাদি। বিভিন্ন গেস্ট হাউস ও হোমস্টেতেও থাকার ভাল ব্যবস্থা আছে।
কী দেখবেন
নৈনিতালের কেন্দ্রবিন্দু নৈনি হ্রদ। হ্রদের চারপাশের মনোরম দৃশ্য মনোমুগ্ধকর। হ্রদে বোটিং এবং নৌকাবিহারের সুযোগ রয়েছে। নৈনি লেকের উত্তর প্রান্তে রয়েছে নৈনি দেবীর মন্দির। প্রতি বছর বহু পুণ্যার্থী এই মন্দির দর্শনে আসেন। নৈনিতালের কাছেই রয়েছে টিফিন টপ নামের ভিউ পয়েন্ট। নৈনিতাল শহর ও চারপাশের পাহাড় দেখা যায় এই ভিউ পয়েন্ট থেকে। হেঁটে অথবা ঘোড়ায় চেপে এখানে যাওয়া যায়। নৈনিতালের পণ্ডিত জি.বি. পন্থ চিড়িয়াখানাও পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য রয়েছে স্নো ভিউ পয়েন্ট নামের একটি জায়গা। রোপওয়ের মাধ্যমে এখানে উঠতে হয়। বাচ্চাদের নিয়ে ঘোরার জন্য দারুণ একটি জায়গা কেভ গার্ডেন। এটি ৬টি গুহার সংযোগস্থল। সবশেষে বলতে হয় ম্যাল রোডের কথা। নৈনি লেকের পাশে এই রাস্তাটি সন্ধ্যায় ঘোরার জন্য চমৎকার। এখানে প্রচুর দোকানপাট ও রেস্তোরাঁ রয়েছে।
উটি
উটির আনুষ্ঠানিক নাম উদগমণ্ডলম। দক্ষিণ ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় শৈলশহর এটি। উটি মূলত মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য, সবুজ পাহাড়, চা বাগান এবং ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত।
কীভাবে যাবেন
উটির নিকটতম বিমানবন্দর হল কোয়েম্বাটোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিমানবন্দর থেকে ট্যাক্সি বা বাসে ঊটি পৌঁছনো যায়। দূরত্ব প্রায় ৮৮ কিলোমিটার। উটির নিজস্ব রেলস্টেশন আছে, তবে এটি ব্রডগেজ লাইনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়। মেট্টুপালায়াম স্টেশন থেকে উটি পর্যন্ত টয় ট্রেন যাতায়াত করে। সড়কপথে বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, কোয়েম্বাটোর, মাইসোর এবং অন্যান্য নিকটবর্তী শহর থেকে উটির জন্য নিয়মিত বাস সার্ভিস রয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ি বা ট্যাক্সি ভাড়া করেও যাওয়া যেতে পারে।
কোথায় থাকবেন?
উটিতে বিভিন্ন বাজেটের হোটেল, রিসোর্ট এবং গেস্ট হাউস রয়েছে। বিলাসবহুল হোটেলের মধ্যে রয়েছে শ্যাভয়, তাজ হোটেল, উটি আইএইচসিএল ইত্যাদি। এর থেকে কিছুটা কম দামে হোটেল লেক ভিউ, হোটেল হাইল্যান্ড, স্টার্লিং উটি-তে থাকতে পারেন। আরও অল্প খরচে থাকতে চাইলে বিভিন্ন গেস্ট হাউস, হোমস্টে এবং ‘তামিলনাড়ু ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন’ বা ‘টিএনটিডিসি’-এর হোটেলগুলিতে সাশ্রয়ী মূল্যে থাকার ব্যবস্থা আছে।
কী দেখবেন
উটির প্রধান আকর্ষণ নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে বা টয় ট্রেন। এটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অংশ। মেট্টুপালায়াম থেকে উটি পর্যন্ত এই ট্রেন চলে। পথের দৃশ্য মন মুগ্ধ করে তোলে। আঁকাবাঁকা পথে, টানেলের মধ্য দিয়ে, সবুজ উপত্যকার পাশ দিয়ে এই ট্রেনযাত্রা সারা জীবন মনে থাকার মতো। ঊটির কেন্দ্রে রয়েছে উটি হ্রদ। এটি কিন্তু কোনও প্রাকৃতিক জলাশয় নয়। প্রায় ২৫ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই হ্রদটি কৃত্রিমভাবে তৈরি। বোটিং করার জন্য এখানে প্যাডেল বোট, রো বোট এবং মোটর বোটের সুবিধা আছে। এখানকার বোটানিক্যাল গার্ডেন ১৮৪৮ সালে স্থাপিত। অসংখ্য দেশি-বিদেশি গাছপালা, ফুলের বাগান এবং জীবাশ্ম রয়েছে দেশের অন্যতম প্রাচীন এই বাগানে। প্রতি বছর মে মাসে এখানে একটি ফুলের প্রদর্শনী হয়। কাজেই গরমের ছুটিতে এখানে গেলে এই প্রদর্শনী দেখতে পাবেন। বোটানিক্যাল গার্ডেন ছাড়াও রয়েছে রোজ গার্ডেন। বিভিন্ন রং ও প্রজাতির গোলাপের বিশাল সংগ্রহ দেখতে পাবেন এখানে। শহরের বাইরে প্রধান দর্শনীয় স্থান দোদাবেট্টা শৃঙ্গ। এটি নীলগিরি পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। এখান থেকে চারপাশের পাহাড় এবং উপত্যকার দৃশ্য দেখা যায়। এছাড়াও ঊটির আশপাশে বিস্তীর্ণ চা বাগান রয়েছে। চাইলে এখানে চা তৈরির প্রক্রিয়া দেখতে পারেন। গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে দেখতে পারেন ঊটি থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাইকারা হ্রদ এবং জলপ্রপাত।
শীঘ্রই প্রযুক্তির রাজপাটে আসছে কারা? রইল নিত্যনতুন গ্যাজেটের হদিশ
অন্যদের চেয়ে আপনার কি বেশি গরম লাগে? নেপথ্যে ৫ মারাত্মক রোগ নয় তো! সতর্ক না হলেই বড় বিপদে পড়বেন
কাঠফাটা গরমে নাজেহাল অবস্থা? কীভাবে শরীর ঠান্ডা রাখবেন? রইল হদিশ
ঘুম থেকে উঠে বিবর্ণ ত্বক? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মানলে সকালেই ত্বকের ভোল বদলে যাবে, উপচে পড়বে জেল্লা
একসঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা একই বিভাগের ১৪ নার্স! হুলস্থুল কাণ্ড হাসপাতালে
শুধু স্বাদ-গন্ধই নয়, পুষ্টিগুণেও ঠাসা! ফ্যাটি লিভারের মোক্ষম দাওয়াই এই ফল, নিয়মিত খেলে বশে থাকবে ডায়াবেটিস
কোন ভিটামিনের অভাবে বাড়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি? ঠিক সময়ে সতর্ক না হলেই তিলে তিলে শেষ হবে শরীর
বাড়ছে না চুল? ক্রমশ ফাঁক হয়ে যাচ্ছে মাথা? নারকেল তেলে এই ৩ জিনিস মিশিয়ে নিলেই ফিরবে চুলের হাল
রোজ সকালে খান এই একটি পানীয়, সারাদিন বরফের মতো ঠান্ডা থাকবে শরীর, ছুঁতে পারবে না হিট স্ট্রোক!
প্রধানমন্ত্রী মোদির পরম প্রিয় এই জিভে জল আনা পরোটা, চাইলে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন আপনিও
বাড়িতে মাত্র ৩০ মিনিটে করুন কেরাটিন ট্রিটমেন্ট! এই ঘরোয়া প্যাকের ম্যাজিকে বাঁচবে পার্লারের খরচ
মাত্র ২১ সেকেন্ড আলিঙ্গনেই স্বস্তি! কাকে জড়িয়ে ধরলে দূরে পালাবে সব জটিল রোগ, মন থাকবে ফুরফুরে?
শুভ কাজের আগে কেন দই-চিনি খাওয়ানো হয়? সত্যি কি এর সঙ্গে বিজ্ঞানের যোগ রয়েছে? আসল কারণ জানুন
এক চুমুকেই চমৎকার! কিডনির পাথর নির্মূল থেকে হৃদরোগ প্রতিরোধ, এই পানীয়ই করবে কামাল
হু হু করে নামবে ব্লাড সুগার! ওষুধ-ইনসুলিন নয়, রোজ এই সবজি কাঁচা খেলেই বন্ধ হবে ডায়াবেটিসের দাপাদাপি