আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০১৯ সালে ঘটা করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পরিষেবা চালু হয়েছিল। যাত্রা শুরুর পর থেকেই উন্নত পরিষেবার সেমি স্পিড এই ট্রেনের ভাড়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। উচ্চ ভাড়ার কারণে আম-আদমি ইচ্ছে থাকলেও এই ট্রেনে চড়তে কয়েকবার চিন্তা করেন। বিষয়টি নজর কেড়েছে রেল কর্তৃপক্ষের। তাই এবার বন্দে ভারতের টিকিটের ভাড়া কমানোর জন্য রেল চিন্তা-ভাবনা শুরু করল বলে জানা গিয়েছে।
দেশের বৃহৎ অংশের মানুষের কথা বিবেচনা করে এই প্রিমিয়াম ট্রেনের ভাড়া কমাতে রেলের তরফে পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে সূত্রে খবর। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, ১০ ঘন্টারও কম সময়ে ৮০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে শহরগুলিকে সংযুক্ত করে নির্বাচিত রুটে চলাচল করে। বর্তমানে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ১৩৬টি পরিষেবা রয়েছে। এই ট্রেন, আরামদায়াক ভ্রমণের জন্য প্রসিদ্ধ, তবে ভাড়া অন্যান্য ট্রেনের থেকে বেশ অনেকটাই বেশি।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে যে, ভাড়া কমানোর জন্য যে সমস্ত বিষয় মাথা রাখা যেতে পারে, যে যে ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা সম্ভব সেই সমস্ত বিষয়ই ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত ভাড়া কমানোর বিষয়ে সরকারের তরফে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি।
ভাড়া কমানোর সম্ভাব্য পন্থাগুলির মধ্যে, আয়ের স্তরের উপর ভিত্তি করে মূল্য নির্ধারণ, ভর্তুকি প্রবর্তন, অথবা একটি স্তরবদ্ধ হার কাঠামো বাস্তবায়ন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এই পদক্ষেপগুলি সরকারের টেকসই পরিবহনের বৃহত্তর লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, যা দূষণকারী ভ্রমণ পদ্ধতি থেকে রেলপথে স্থানান্তরকে উৎসাহিত করবে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে আরও সাশ্রয়ী করে তোলার মাধ্যমে, সরকার রেল ভ্রমণের বাজার অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে পারে। আরও বেশি লোককে গাড়ি বা বাসের থেকে ট্রেনে চলাচলের জন্য উৎসাহিত করতে পারে। এই পরিবর্তন মহাসড়কে যানজট কমাতে পারে এবং ভারতের পরিবেশগত উন্নতি বজায় থাকবে।
ভাড়া কমানো বর্তমান মহামারী-পরবর্তী অর্থনীতিতে বৃহত্তর সাশ্রয়ী মূল্যের সমস্যাগুলিও সমাধান করতে পারে। ভারতীয় রেলওয়ে তার আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার সঙ্গে সঙ্গে, বন্দে ভারতের টিকিটের দাম সমন্বয় আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক রেলওয়ে নেটওয়ার্কের দিকে একটি পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিতে পারে।
