আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের সিঙ্গরৌলি জেলার বান্ধা এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থার খনি প্রকল্প শুরু হওয়ার পর, হাজার হাজার ফাঁকা বাড়ি নির্মিত হয়েছে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায়। এই ঘরগুলির অনেকগুলোতেই নেই দরজা, জানালা, এমনকি প্রাথমিক পরিকাঠামোও। জেলা প্রশাসন এখন এই ৩,৪৯১টি নির্মাণের তদন্ত শুরু করেছে।

জানা গেছে, বহু ঘর তৈরি হয়েছে তড়িঘড়ি করে, এক লাখ থেকে পনেরো লাখ টাকার মধ্যে খরচ করে। কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, প্রকৃত মালিক হয়েও তাদের ঘরকে ‘নতুন’ এবং ‘অবৈধ’ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রধান দেবেন্দ্র পাঠক জানান, ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁরা উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন।

অনেকে অভিযোগ করছেন, বাইরের লোকজন এসে স্থানীয়দের কাছ থেকে জমি কিনে এই ঘর নির্মাণ করেছেন। ফলে প্রকৃত গ্রামবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, একাধিক ফাঁকা বাড়ি একই পরিবারের নামে বা ভুল মালিকের নামে নথিভুক্ত হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, পুরো এলাকার উপর নজর রাখা কঠিন, কারণ কিছুদিনের মধ্যেই নতুন নতুন নির্মাণ হয়ে যায়। এবার ড্রোনের মাধ্যমে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। তদন্তকারী দলের প্রধান জানান, প্রতিটি ঘর খতিয়ে দেখে নির্ধারণ করা হবে কোনগুলো ক্ষতিপূরণের যোগ্য।

প্রশাসনের দেরিতে সক্রিয় হওয়া এবং কোম্পানির দায় এড়ানোর চেষ্টা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তদন্ত এখনও চলছে, এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে সময় লাগবে বলেই জানা গেছে।