আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিটি বাড়ির লিভিং রুমে এতদিন ধরে দাপিয়ে নিজের রাজত্ব করেছে টেলিভিশন। তবে এবার সেদিন শেষ হতে চলল। 


ছেলেবেলা থেকেই আমরা সকলে টেলিভিশন দেখেই বড় হয়েছি। প্রতিটি ঘরে আনন্দ-সময় কাটানোর দিক থেকে এর থেকে বড় ভরসা আর কিছুই নেই। তবে এবার টেলিভিশনের শত্রু চলে এসেছে বাজারে। বিশেষজ্ঞরা এর নাম দিয়েছেন ভার্চুয়াল স্ক্রিন। একে যেখানে সেখানে ব্যবহার করা যেতে পারে। 


প্রতিটি সময় ধরেই প্রযুক্তি উন্নতি করে চলেছে। তবে একটি সামগ্রী বছরের পর বছর ধরে নিজের জায়গা ধরে রেখেছিল। তার নাম টেলিভিশন। ১৯০০ সাল থেকে শুরু হয়ে এখনও হারিয়ে যায়নি টেলিভিশন। তাকে আপডেট করা হয়েছে ঠিকই। তবে এক জায়গা থেকে নড়ানো যায়নি।


ডিজিটাল মার্কেটে বিগত ২০ বছর ধরে এবিষয়ে গবেষণা চলছে। টেলিভিশনের বিকল্প কী হতে পারে তা নিয়ে চলছিল পরীক্ষা। নতুন আবিষ্কার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বাজারে। এটি কোনও বড় স্ক্রিন নয়। এটি এমন একটি ভার্চুয়াল স্ক্রিন যেটি আসলে কেউ দেখতে পারবে না। যার চোখে এটি থাকবে সেই এটিকে দেখতে পারবে। ফলে আপনি কী দেখছেন তা অন্য কারও নজরে আসবে না।


এই ভার্চুায়াল স্ক্রিন ঠিক চশমার মতো আকার নিয়েছে। এর সঙ্গে কানে দেওয়া থাকবে হেডফোন। ২০২৪ সাল থেকেই একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এটি তৈরি করে ফেলেছে। যেখানে সেখানে টেলিভিশনের আনন্দ পেতে এর থেকে বড় বিকল্প আর কিছুই খাকতে পারবে না।


প্রতিটি মানুষের চোখে যেমন চশমা থাকে তেমনি থাকবে এই ভার্চুয়াল স্ক্রিন। ফলে সেখান থেকে যেখানে সেখানে নিজের বিনোদনের প্রক্রিয়া থাকবে আপনার নিজের হাতেই। বর্তমানে এর দাম একটু বেশি থাকলেও আগামীদিনে তা কমবে। ফলে তখন প্রতিটি মানুষের হাতের স্মার্টফোনের মতোই প্রতিটি চোখে থাকবে ভার্চুয়াল স্ক্রিন। 


তবে এর নেগেটিভ দিক নিয়েও অনেকে কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন সঙ্গে করে এই ভার্চুয়াল চশমা বয়ে নিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন বিষয়। পাশাপাশি একসঙ্গে বসে যে আনন্দ পাওয়া যাবে সেটি এখানে হবে না। ফলে মানুষ অনেক বেশি একা হয়ে যাবে।