আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের চাহিদার অনুদান নিয়ে পিআরএস লেজিসলেটিভ রিসার্চের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উচ্চ আয় ও পুষ্টিকর খাবার থাকা সত্ত্বেও হরিয়ানায় নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য সূচক অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
প্রতিবেদন অনুসারে, রাজ্যের পাঁচ বছরের কম বয়সী ২৮ শতাংশ শিশু খর্বকায়, ১২ শতাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভোগে এবং ৪০ শতাংশ শিশু কম ওজনের। ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে রক্তাল্পতার হার ৭২ শতাংশ, যা ভারতের মধ্যে অন্যতম বেশি। একইসঙ্গে স্তন্যদানকারী মহিলাদের ৬১ শতাংশই রক্তাল্পতায় আক্রান্ত।
যদিও হরিয়ানায় ২০২৩-২৪ সালে পোষণ ২.০ মিশনের জন্য ২২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তথাপি বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়ে গেছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির ২৮ শতাংশে শৌচাগার নেই এবং ১১ শতাংশে পানীয়জলের ব্যবস্থা নেই। এছাড়া কর্মীর ৬ শতাংশ এবং সহায়িকার ৮ শতাংশ পদ খালি।
ভূগোলের অধ্যাপক রাজেশ্বরীর মতে, শিশুর অপুষ্টি শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ এবং মা’দের অপুষ্টিই এর বড় উৎস। তিনি জানান, শিক্ষিত ও সুস্থ মায়েদের সন্তানদের মধ্যে অপুষ্টির হার তুলনামূলক কম। গ্রামাঞ্চল, উচ্চ জন্মক্রম এবং তফসিলি জাতির শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার বেশি।
অধ্যাপক রাজেশ্বরী আরও বলেন, “মহিলাদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার কম (মাত্র ৪২ শতাংশ), এবং পরিবারে পুত্র সন্তানকেই অধিক পছন্দ করা হয়, যা মেয়েদের পুষ্টি ও প্রজনন স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।”
এই সংকট মোকাবেলায় বাজেট বাড়লেও, কার্যকর বাস্তবায়নের অভাবেই স্বাস্থ্য সূচক উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
