আজকাল ওয়েবডেস্ক: চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে দাপুটে জয়ের পর আরও একটি ম্যাচে বড় ব্যবধানে জেতার সুযোগ রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ১১১ রানে শেষ হয়ে যায় পাঞ্জাব কিংসের ইনিংস। পুরো ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি। ১৫.৩ ওভারে আত্মসমর্পণ। জঘন্য পারফরম্যান্স। একের পর এক উইকেট ছুড়ে দেয় পাঞ্জাব। ব্যাটারদের মনে কী চলছিল বোঝা মুশকিল। জয়ের জন্য নাইটদের প্রয়োজন ১১২ রান। পাঞ্জাবের সর্বোচ্চ রান প্রভসিমরন সিংয়ের। ৩০ রান করেন। তিন উইকেট হর্ষিত রানার। জোড়া উইকেট বরুণ চক্রবর্তী এবং সুনীল নারিনের। বিপক্ষের ডেরায় অনবদ্য পারফরম্যান্স অজিঙ্ক রাহানের দলের। 

১০ ওভারে ৭ উইকেট। ঘরের মাঠে পাঞ্জাবের ব্যাটিং বিপর্যয়। ওপেনিং জুটি ছাড়া সবাই ডাহা ফেল। মিডল অর্ডারে কোনও ব্যাটার রান পায়নি। পুরোনো দলের বিরুদ্ধে শূন্যতে ফিরলেন শ্রেয়স আইয়ার। মাত্র ২ ওভার উইকেটে টেকেন আইপিএল জয়ী অধিনায়ক। টসে জিতে ব্যাটিং নেন শ্রেয়স আইয়ার।‌ কিন্তু বুমেরাং হয়ে ফেরে। একের পর এক ব্যাটার এলেন এবং গেলেন। দুই ওপেনার আউট হতেই পাঞ্জাবের খেল খতম। ঝড়ের গতিতে শুরু করেন প্রভসিমরন সিং এবং প্রিয়ানশ‌‌ আর্য। অন্যান্য ম্যাচের মতো বিধ্বংসী মেজাজে শুরু করে পাঞ্জাবের ওপেনিং জুটি। ১৫ বলে ৩০ রান করে আউট হন প্রভসিমরন। ১২ বলে ২২ রান করেন প্রিয়ানশ‌‌। দুই ওপেনার আউট হতেই মুখ থুবড়ে পড়ে ব্যাটিং অর্ডার। পাঞ্জাবের ভরাডুবি দেখে মনে হয় দুই ওপেনার বোধহয় অন্য পিচে ব্যাট করছিল। 

বেগুনি জার্সিতে উদ্বোধন হয় আনরিচ নোখিয়ার।‌ অভিষেক ম্যাচেই উইকেটের খাতা খোলেন। নেহাল ওয়াদেরাকে তুলে নেন। এদিন আহামরি বল না করলেও ভাগ্যের জোরে তিন উইকেট পান হর্ষিত রানা। দুই ওপেনার এবং শ্রেয়স আইয়ারকে ফেরান কেকেআরের পেসার। তিনটে ক্যাচই নেন রমনদীপ সিং। জোড়া উইকেট সুনীল নারিন এবং বরুণ চক্রবর্তীর। রহস্য স্পিনারের বল বুঝতেই পারেনি ম্যাক্সওয়েল। সরাসরি বোল্ড হন। ১১ ওভারের মধ্যে ৮৬ রানে ৮ উইকেট হারায় পাঞ্জাব। আর ম্যাচে ফেরার কোনও সুযোগ ছিল না।