আজকাল ওয়েবডেস্ক: মদ খেয়ে প্রায় রোজই চিল চিৎকার করতেন, গালাগালে কান পাতা দায়। প্রতিবাদ করেছিলেন তরুণী। সেই রাগে তরুণীকে পুড়িয়ে মারলেন যুবক। দিন কয়েক আগের এই ঘটনা কেরলের কাসারাগড় জেলার।
কাসারাগড়ের এক বহুতলের নীচে একটি মুদির দোকান চালাতেন ৩২ বছরের সি রমিথা। তার পাশেই আসবাবপত্রের দোকান ছিল রামামৃতম নামে এক যুবকের। অভিযোগ, রামামৃতম প্রায়ই মদ খেয়ে চিল্লামেল্লি করতেন। নিষেধ করা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। ফলে রামামৃতমের মাতাল কার্যকলাপ নিয়ে একাধিকবার বহুতলের মালিকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন রমিথা।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বাড়ির মালিক রামামৃতমকে দোকানটি খালি করে দিতে বলেন।
সেই রাগে গজরাচ্ছিলেন রামামৃতম। নমিথার বিরুদ্ধে 'প্রতিশোধ' নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন যুবক। সেই ঘটনার পর পরই গত ৮ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ রমিথার দোকানে আসেন ওই যুবক। সে সময় দোকানে কাজ করছিলেন রমিতা। আচমকা যুবক তাঁর গায়ে এক প্রকার দাহ্য তরল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন!
সে সময়, রমিতার এক প্রতিবেশী দোকানের কাছেই ছিলেন। রমিথার চিৎকার শুনে চলে আসেন স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি তরুণীকে উদ্ধার করে কানাহগড় জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ম্যাঙ্গালুরুর এক চিকিৎসাকেন্দ্রে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রমিতার।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর শরীরের ৫০ শতাংশেরও বেশি পুড়ে গিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত রামামৃতম তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। ঘটনার পরেই পালানোর চেষ্টা করেছিল রামামৃতম। কিন্তু স্থানীয়েরাই তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
