নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলা ক্যালেন্ডারের নতুন পাতা শুরু হল। ১৪৩২-কে স্বাগত জানিয়ে শুরু হল নতুন বছর। সকাল থেকেই নববর্ষের শুভেচ্ছা আদানপ্রদান চলছে। আজকের দিনটা কীভাবে কাটাবেন টলি তারকারা? কতটা বাঙালিয়ানায় ভরবে তাঁদের স্মৃতির পাতা?
নববর্ষ মানে আজও উত্তর কলকাতার অলিগলিতে ছুটে যায় অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্যর মন। আজকাল ডট ইন-কে অভিনেতা বলেন, "নববর্ষের সকালটা শুরু হতো, পাড়ার প্রভাতফরি দিয়ে। জল খাবারে থাকত লুচি। একটু বেলায় বাবার সঙ্গে কিছু বিখ্যাত পাবলিকেশন কোম্পানিতে যেতাম। তখনকার সময় সেখানে অনুষ্ঠান হতো। তারপর সন্ধেতে হালখাতা। অল্প ভেজাল মিষ্টি আর বিস্বাদ শরবতেই তখন মন ভরত। এখন এসব নস্টালজিয়ার পাতায়। নিয়ম মেনে এখন শুধু জমিয়ে বাঙালি খাবার খাওয়া হয়।"
অভিনেত্রী ইশা সাহা এদিন ডায়েট ভুলে মন দেন খাওয়ার পাতে। তাঁর কথায়, "পয়লা বৈশাখে খাওয়াদাওয়াটা মাস্ট। তারপর একটু বেশি এক্সারসাইজ করে নিই। আর সারা বছর নতুন জামা কিনলেও এদিন নতুন জামা পরার রেশটা এখনও রয়েছে। ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে হালখাতায় যেতাম আর মিষ্টির প্যাকেটগুলো বাড়িতে এনে গুনতাম ক'টা পছন্দের মিষ্টি পেলাম। এখন কাজের মধ্যেই কাটে দিনটা। তবে ঠিক করেছি শুটিংয়ে আজ বাঙালি খাবার খাব।"
স্মৃতির পাতা হাতড়ে অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার বলেন, "পয়লা বৈশাখ মানে ছোটবেলায় কয়েকদিন আগে থেকে উত্তেজনা থাকত। নাচের অনুষ্ঠানের রিহার্সাল শুরু হত। বছরের অন্যান্য দিন অনেক রকমারি পোশাক কিনলেও এদিন সুতির ফ্রক পড়তাম ছোটবেলায়। এখনও সেই ট্রেন্ড মেনে সুতির শাড়ি পরি।"
