আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক গোপন পানীয়ের লুকিয়ে রয়েছে যৌন জীবন রঙিন করার রহস্য। জানেন কি সেটা কী?
সময়ের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে দাম্পত্য জীবন। কর্মব্যস্ততা, মানসিক চাপ ও দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যা দম্পতিদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করছে। বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে যৌন ক্ষমতা হ্রাসের প্রবণতা বাড়ছে। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মানসিক চাপ এবং শারীরিক ক্লান্তি পুরুষদের লিবিডোতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ফলস্বরূপ, অনেকেই চিকিৎসার শরণাপন্ন হচ্ছেন এবং বিভিন্ন ওষুধ সেবন করছেন, যদিও সেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় এসেছে একটি বিশেষ চা, যার নাম ‘শক্তিবর্ধক চা’। বলা হচ্ছে, এটি শক্তিবর্ধক শীলাজিতের চেয়েও কার্যকরী। দাবি করা হচ্ছে, অতীতের রাজা-বাদশাহরা, যাঁদের একাধিক রানি ছিল, এই বিশেষ চা পান করতেন। তাঁদের দাম্পত্য জীবনের শক্তির রহস্য নাকি লুকিয়ে রয়েছে এই পানীয়তেই।
প্রচলিত তথ্য অনুযায়ী, এই বিশেষ চায়ের মূল উপাদান হল রাগি, যা অত্যন্ত পুষ্টিকর ও শক্তিবর্ধক একটি শস্য। রাগি দেহের দুর্বলতা কমাতে সাহায্য করে এবং দেহকে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি জোগায়। এ কারণে এটি অতীতে রাজাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চায়ের সঙ্গে ঘি মেশালে এটি শরীরে অতিরিক্ত উষ্ণতা সৃষ্টি করে, যা যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বর্তমানে পাহাড়ি অঞ্চলে অনেকেই এই ধরনের চা পান করেন, বিশেষত শীতকালে দেহ গরম রাখার জন্য।
বৈজ্ঞানিকভাবে এর কার্যকারিতা এখনো পুরোপুরি প্রমাণিত নয়, তবে অনেকেই দাবি করছেন যে শক্তিবর্ধক চা যৌন স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করাও গুরুত্বপূর্ণ, শুধুমাত্র কোনো নির্দিষ্ট পানীয় বা খাদ্যদ্রব্যের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়।
এই চা বাস্তবিকভাবে কতটা কার্যকরী, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, একে ঘিরে ক্রমেই আগ্রহ বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এ ধরনের যেকোনো পানীয় গ্রহণের আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
