আজকাল ওয়েবডেস্ক: বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফিরতে চলেছেন শ্রেয়স আইয়ার।ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার জন্য গতবছর বাদ পড়েছিলেন কেকেআরের আইপিএল জয়ী অধিনায়ক। এবছর এখনও কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশিত হয়নি। এ+ ক্যাটাগরিতে আছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং রবীন্দ্র জাদেজা। কিন্তু তিনজনই টি-২০ ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তাই এবার সেদিকে বিশেষ নজর থাকবে। সোমবার মেয়েদের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে রয়েছেন ১৬ জন। আশা করা যাচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে ছেলেদের তালিকা। গতবছর এই তালিকায় ৩০ জন ছিল। এ+ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা বছরে ৭ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পায়। এ ক্যাটাগরি পায় ৫ কোটি। গ্রেড বি এবং সি যথাক্রমে তিন এবং এক কোটি পায়।
হেড কোচ এবং বোর্ড সচিবের পরামর্শে কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা জাতীয় নির্বাচক কমিটি প্রস্তুত করে। তারপর অ্যাপেক্স কাউন্সিলে সেটা পাস হয়। শোনা যাচ্ছে সিনিয়র প্লেয়ারদের এ+ ক্যাটাগরিতে রাখা নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। আগের বছর রোহিত, বিরাট, বুমরা এবং জাদেজাকে সর্বোচ্চ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়। এ+ ক্যাটাগরিতে সাধারণত তিন ফরম্যাটেই যারা নিশ্চিত, তাঁদের রাখা হয়। রোহিত, কোহলি, জাদেজা টি-২০ থেকে অবসর নেওয়ায়, তাঁদের মাত্র বাকি দুই ফরম্যাটে পাওয়া যাবে। শুধুমাত্র বুমরাকে এখনও তিন ফরম্যাটে পাওয়া যাবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ায় এ ক্যাটাগরিতে থাকবেন না রবিচন্দ্রন আশ্বিন। এই জায়গায় বি থেকে এ ক্যাটাগরিতে প্রমোট করা হতে পারে অক্ষর প্যাটেলকে। নিয়মিত একদিনের আন্তর্জাতিক এবং টি-২০ খেলেন তিনি।
শ্রেয়স আইয়ারের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত। এবছর ১১টি একদিনের ম্যাচ খেলে ফিলেছেন তিনি। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকতে হলে একজন প্লেয়ারকে হয় তিনটে টেস্ট, বা আটটি একদিনের ম্যাচ বা দশটি টি-২০ খেলতে হয়। গ্রেড বি থেকে যশস্বী জয়েসওয়ালকে এ-তে প্রমোট করা হয় কিনা সেটাও দেখার। তালিকায় প্রবেশ করবেন বাংলার মুকেশ কুমার এবং সরফরাজ খান। গ্রেড সিতে রাখা হবে তাঁদের। একই ক্রাইটেরিয়ায় বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন নীতিশ কুমার রেড্ডি। গতবছর এই তালিকায় ছিলেন শার্দূল ঠাকুর এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। কিন্তু এবার ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে পারছে না তাঁরা। তবে তাঁদের বাদ দেওয়া হবে, না রেখে দেওয়া হবে, সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে নির্বাচক কমিটির ওপরে।
