আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রেমিককে বিয়ে করার একদিন পরই নয়ডায় এক তরুণীর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগ, মৃতার বাবা ও ভাই তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এবং প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে তরুণীর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
তরুণী নেহা রাঠোরের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের হাপুরের বাসিন্দা দেবেন্দ্র সিংয়ের সম্পর্কে ছিল। কিন্তু তা মেনে নেয়নি তরুণীর পরিবার। ভিন্ন সম্প্রদায়ের জেরেই এই অসন্তোষ। ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণী নেহার বাবা নয়ডা সেন্ট্রালের বিসরাখ থানা এলাকার চিপিয়ানা বুজুর্গের বাসিন্দা। মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বাবা এতটাই অসন্তুষ্ট ছিলেন যে তরুণীকে দেবেন্দ্র সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতেই নিষেধ করেছিলেন।
তবে, সেই নিষেধ অমান্য করে গত ১১ মার্চ গাজিয়াবাদের একটি আর্য সমাজ মন্দিরে নেহা প্রেমিককে বিয়ে করেন। তরুণীর বাবা ভানু রাঠোর এই বিয়ের কথা জানতে পেরেই ক্ষুব্ধ হন। শেষমেষ সম্মান রক্ষায় এক ভয়াবহ পরিকল্পনা করেন।
মেয়েকে তিনি বাড়ি ফিরে আসতে রাজি করান। বলেন যে, তিনি তাঁর জন্য একটি উপযুক্ত বিয়ের ব্যবস্থা করবেন। মেয়েটিও বাবাকে বিশ্বাস করেছিল। তরুণী বাড়ি ফিরে আসে। শেষ অবধি বিয়ের পরের দিন ছেলে হিমাংশুকে সঙ্গে নিয়ে নিজের মেয়েকে খুন করেন ভানু রাঠোর।
নয়ডা সেন্ট্রালের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ শক্তি মোহন অবস্থি বলেন, "মহিলার সন্দেহজনক মৃত্যুর খবর পাওয়ার তিন ঘন্টা পরেই সত্য ফাঁস হয়ে যায়। নেহাকে তাঁর বাবা এবং ভাই হত্যা করেছে। এই বিয়ে নিয়ে ওরা বিরক্ত ছিলেন। মৃতার বাবা এবং ভাইকে হত্যা এবং মৃতদেহ পুড়িয়ে প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।" তদন্তের জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে।
