আজকাল ওয়েবডেস্ক: রঙের উৎসব দোল। বসন্তের এই উৎসবে নিজেকে রাঙিয়ে তোলার অপেক্ষা থাকে সারা বছর। দোল বা হোলি যাই বলুন না কেন, আবির-রঙের মিশেলে ডুবে যেতে ভালবাসেন প্রায় সকলেই। আবার কারওর কাছে রং মেখে ভূত না হলে যেন দোলের মজাই মাটি! তবে আবির বা রং যাই মাখুন না কেন, সবেতেই থাকে ক্ষতিকর রাসায়নিক। বাজার চলতি ভেষজ রঙের গুণমান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। তাছাড়া রং বা আবির কোনওটাই ত্বকের জন্য ভাল নয়, দীর্ঘক্ষণ লেগে থাকলে নানা সমস্যার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই দোলের আনন্দের মাঝে যেন ত্বকের দফারফা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বই কী! 

ত্বকের সমস্যা এড়াতে কী করবেন

তেল মাখুন: মা-ঠাকুমাদের মুখে নিশ্চয়ই শুনেছেন, নারকেল তেল মেখে রং খেললে পরে তুলতে সুবিধা হয়। এই টোটকা আজও প্রযোজ্য। নারকেল তেল না লাগাতে চাইলে অলিভ অয়েল বা সরষের তেল মেখে নিন। এতে ত্বকের উপর একটা স্তর পড়বে, ফলে সহজে রং ত্বকে মিশে যাবে না। শরীরের উন্মুক্ত জায়গায় পেট্রোলিয়াম জেলিও লাগাতে পারেন।

ব্রণ থাকলে তেল নয়: মুখে ব্রণ থাকলে তেল নৈব নৈব চ। পরিবর্তে অয়েল ফ্রি মশ্চারাইজার লাগান, যা ত্বককে রুক্ষ-শুষ্ক হওয়া থেকে যেমন আটকাবে, তেমনই রঙের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করবে। 

সানস্ক্রিন মাস্ট: সাধারণত বাড়ির বাইরেই রং খেলা হয়। তাই সানস্ক্রিন লাগাতে ভুললে চলবে না। ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন বেছে নিন, সঙ্গে কয়েক ফোঁটা বেবি অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। ড্রাই স্কিনে প্রথমে সানস্ক্রিন লাগিয়ে কয়েক মিনিট পরে ময়েশ্চারাইজার লাগান।

ঢিলেঢালা পোশাক: দোলের দিন এমন পোশাক পরুন, যা শরীরের বেশিরভাগ অংশকে ঢেকে রাখবে। এতে সরাসরি ত্বকে রং লাগার আশঙ্কা কম থাকবে।

চটজলদি রং পরিষ্কার: রং মাখার পর রোদে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বকের বেশি ক্ষতি হতে পারে। খেলা শেষে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ত্বক থেকে রং ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। 

হাইড্রেটেড থাকুন: যতই রঙের উৎসবে মেতে থাকুন, জল খেতে ভুললে চলবে না। এতে শরীর হাইড্রেটেড হবে। ত্বকে চুলকানি, জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যাও কম হবে। ডাবের জল, ফলের রস, পাতিলেবু বা পুদিনা মেশানো জল খেতে পারেন। 

মুখ ধুয়ে মশ্চারাইজার: রং খেলার পর যাতে ত্বক শুষ্ক হয়ে না যায় তার জন্য ভাল মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। রং খেলার সময়েও প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর মশ্চারাইজার লাগাতে পারেন।