আর্কাদাগ-২ ইস্টবেঙ্গল-১ 
  
(এগ্রিগেট ৩-১)
  
  
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশ হোক বা বিদেশ, সেই হৃদয় ভাঙার গল্পের পরম্পরা চলছেই। সুদূর তুর্কমেনিস্তানের মাঠে ইস্টবেঙ্গলের এএফসি স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।
প্রায় ৮৭ মিনিট পর্যন্ত ১০ জনের ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে ছিল। পেনাল্টি থেকে একটা গোল স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটাল। অ্যাডেড টাইমে আরও একটি গোল করে আর্কাদাগ পৌঁছে গেল এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের সেমিফাইনালে। অস্কার ব্রুজোঁর হাত ধরে যে দৌড় শুরু হয়েছিল ভূটানের মাঠ থেকে, এই তুর্কমেনিস্তানে এসে শেষ হয়ে গেল অভিয়ান।
শুরুতে আক্রমণাত্মক খেলে গোল তুলে নিয়েও দিনান্তে সেই কাঁধ ঝুলে যাওয়ার ছবি দেখতে হল। ম্যাচ আসে ম্যাচ যায়, সেই একই পরম্পরা বজায় থাকে। একটুও বদলায় না ইস্টবেঙ্গল।
যুবভারতীর প্রথম সাক্ষাতে এই আর্কাদাগের কাছে হার হজম করেই সমীকরণ কঠিন করে তুলেছিল ইস্টবেঙ্গল। তুর্কমেনিস্তানের মাঠে গিয়ে অসাধ্যসাধন করতে হলে দু'গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জিততেই হত লাল-হলুদকে।
মেসি বাউলির গোলে শুরুতেই স্বপ্নের জাল বুনতে শুরু করেছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। নুঙ্গা এবং রিচার্ড সেলিসের অদক্ষতায় সেই স্বপ্নই দুমড়েমুচড়ে গেল। সমর্থকদের যন্ত্রণা গলার কাছে দলা পাকিয়ে আসে।
খেলার দ্বিতীয় মিনিটে মেসি বাউলি গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন। তার পরে রিচার্ড সেলিস একাই হ্যাটট্রিক করতে পারতেন। কিন্তু কখনও তিনি বাইরে মেরেছেন, কখনও বড়লোকের বাউন্ডুলে ছেলের মতো বল উড়িয়ে দিয়েছেন।
ইস্টবেঙ্গলের যন্ত্রণা আরও বাড়ান নুঙ্গা। ৩৩ মিনিটে লাল কার্ড (জোড়া হলুদ কার্ড) দেখে দলকে বিপন্ন করেন তিনি। প্রতিটি ম্যাচে হয় হলুদ কার্ড নয় তো লাল কার্ড দেখা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন ইস্টবেঙ্গলের ৫ নম্বর জার্সিধারী। এদিনও তিনি লাল কার্ড দেখে উঠে যাওয়ায় বাকি সময়টা ইস্টবেঙ্গলকে ১০ জনে খেলতে হল।
১১ বনাম ১০-এর অসম লড়াইও জেতা যেত যদি রিচার্ড সেলিস সুযোগগুলো কাজে লাগাতেন। নিউমেরিক্যাল অ্যাডভান্টেজেরে সুবিধা নিয়ে আর্কাদাগ আক্রমণের সুনামি বয়ে নিয়ে আসে লাল-হলুদের পেনাল্টি বক্সে।
এই আক্রমণের ঢেউ থেকে কীভাবে বাঁচা সম্ভব! তাও ৮৭ মিনিট পর্যন্ত তুর্কমেনিস্তানের ক্লাবকে আটকে রেখেছিলেন সউল ক্রেসপো, দিমিরা। কিন্তু পেনাল্টি বক্সের ভিতরে সৌভিক চক্রবর্তীর ট্যাকল আর্কাদাগকে পেনাল্টি উপহার দেয়। পেনাল্টি স্পট থেকে গোললাইন, পৃথিবীর রহস্যময় সরণী। এই রাস্তায় কেউ পথ হারিয়েছেন, আবার কেউ পথভ্রষ্ট হননি। আর্কাদাগ বিপথে যায়নি। পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরানোর খানিক পরেই ২-১ করে ফেলে আর্কাদাগ। 
 
  
 
 বিদেশি ক্লাবের বিরুদ্ধে বিদেশের মাঠে নিজেদের নিংড়ে দিলেও আশার লাল-হলুদ প্রদীপ নিভেই গেল। ব্যর্থতার ঝোলা আরও ভারীই হল। 
