আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশের জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিজেপি-র আয় সবচেয়ে বেশি। গত অর্থবর্ষে ভারতের শাসক দলের আয় ৪,৩৪০.৪৭ কোটি টাকা। তাদের প্রতিবেদনে এমনই জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মস। এই সংস্থার দাবি, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের ছয়টি জাতীয় দলের মোট আয়ের ৭৪.৫৭ শতাংশ-ই বিজেপির আয়।
অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মস তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে, "২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিজেপি মোট আয় ৪,৩৪০.৪৭৩ কোটি টাকা। কিন্তু ওই আয়ের মাত্র ৫০.৯৬ শতাংশ ব্যয় করেছে, যার পরিমাণ ২,২১১.৬৯ কোটি টাকা। কংগ্রেসের মোট আয় ছিল ১,২২৫.১২ কোটি টাকা, এই দল ব্যয় করেছিল ১,০২৫.২৫ কোটি টাকা বা মোট আয়ের ৮৩.৬৯ শতাংশ।"
উল্লেখ্য, জাতীয় দলগুলির আয়ের একটি বড় অংশ এসেছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান থেকে। এক্ষেত্রে বিজেপি সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে এই দল অনুদান পেয়েছে , ১,৬৮৫.৬৩ কোটি টাকা। কংগ্রেস ৮২৮.৩৬ কোটি টাকা এবং আম আদমি পার্টি (এএপি) পেয়েছে ১০.১৫ কোটি টাকা।
সম্মিলিতভাবে, এই তিনটি দল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ২,৫২৪.১৩৬১ কোটি টাকা পেয়েছে। যা তাদের মোট আয়ের ৪৩.৩৬ শতাংশ। তবে, গত বছরের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ড-কে 'অসাংবিধানিক এবং স্পষ্টতই স্বেচ্ছাচার' বলে বাতিল করে দিয়েছিল।
অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মস-এর দায়ের করা একটি আরটিআই আবেদনের জবাবে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার শেয়ার করা তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ৪,৫০৭.৫৬ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড রিলিজ করেছে। এই পরিমাণের ৫৫.৯৯ শতাংশ ২,৫২৪.১৩৬১ কোটি টাকা ছিল জাতীয় ছয়টি দলের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, নির্বাচন-সংক্রান্ত ব্যয়ের জন্য সহচেয়ে বেশি খরচ করেছে কংগ্রেস, যার পরিমাণ ছিল ৬১৯.৬৭ কোটি টাকা, তারপরে প্রশাসনিক ও সাধারণ ব্যয়ের জন্য ব্যয় করা হয়েছে ৩৪০.৭০২ কোটি টাকা। তুলনামূলকভাবে, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) প্রশাসনিক ও সাধারণ ব্যয়ের জন্য ৫৬.২৯ কোটি টাকা এবং কর্মীদের ব্যয়ের জন্য ৪৭.৫৭ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
জাতীয় দলের মধ্যে ছয়টি দল অনুদান এবং অবদান থেকে মোট ২,৬৬৯.৮৭ কোটি টাকা পেয়েছে বলে অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মস-এর রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও বলা হয়েছে যে, এই ছয়টি দলের মধ্যে কেবল কংগ্রেস (৫৮.৫৬ কোটি টাকা) এবং সিপিআইএম (১১.৩২ কোটি টাকা) কুপন বিক্রি থেকে মোট ৬৯.৮৮ কোটি টাকা আয় করেছে।
সিপিআই(এম), কংগ্রেস এবং বিজেপির অডিট রিপোর্ট ১২ থেকে ৬৬ দিন দেরি করে জমা দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে নির্বাচন এবং প্রশাসনিক ব্যয়ের জন্য।
