আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি ঘুম। পর্যাপ্ত ঘুম যেমন শরীরকে চাঙ্গা রাখে, তেমনই ফুরফুরে রাখে মনও। ঘুমের মাধ্যমেই শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়। সারাদিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু আধুনিক জীবনযাত্রায় ঘুমের জন্য সময় বার করাই যেন দুষ্কর। যাবতীয় কাজের পর ঘুমকেই সবচেয়ে পরে প্রাধান্য দিতে দেখা যায়। রোজ ৬ ঘণ্টাও ঠিক করে ঘুমোনোর সময় পান না অনেকে। যার ফলে ইদানীং অল্প বয়সে থাবা বসাচ্ছে বিভিন্ন মারাত্মক অসুখ। শুধু সারাদিন ক্লান্তিভাবই নয়, জেনে নিন পর্যাপ্ত না ঘুমালে কী কী সমস্যা হতে পারে-
১. মস্তিষ্কে প্রভাব- মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে ঘুমের ভূমিকা রয়েছে। ঘুম ঠিক মতো না হলে স্মৃতিশক্তি হারাতে পারেন। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন কম ঘুমালে মন:সংযোগের অভাব, ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে।
২. স্থূলতা- কম ঘুমালে মেটাবলিসম কমে যায়। যার ফলে শরীরে ফ্যাট জমতে শুরু করে। নিয়মিত কম ঘুমের কারণে বেশি খিদে পায়। বার বার বেশি খাওয়ার কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়।
৩. হার্টের রোগের ঝুঁকি- ঘুম কম হলে বেশ কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যাঁরা নিয়মিত ৭ ঘণ্টার কম ঘুমান তাঁদের উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরে কোলেস্টেরেলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৪. দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা- শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। যার ফলে দ্রুত ভাইরাল সংক্রমণ, ফ্লু এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
৫. মানসিক অবসাদ- কম ঘুম মানসিক অবসাদ বাড়িয়ে তোলে। সমীক্ষা বলছে, যাঁরা উদ্বেগ বা মানসিক অবসাদে ভোগেন, তাঁদের বেশিরভাগই গড়ে রাতে ছ’ঘণ্টার কম ঘুমোন। অনিদ্রা আর মানসিক অবসাদ পরস্পর এতটাই নিবিড় সম্পর্কযুক্ত যে, একটি আক্রান্তকে অন্যটির দিকে টেনে নিয়ে যায়। অবসাদের লক্ষণগুলি রোগীর ঘুমিয়ে পড়ার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করতে পারে।
