আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ মাত্র ১০ বছরেই মোহভঙ্গ দিল্লিবাসীর। রাজধানীতে কুপোকাত আম আদমি পার্টি। ২৭ বছর পর দিল্লির মসনদে আসতে চলেছে বিজেপি। রাজধানীতেও এবার আসতে চলেছে ডবল ইঞ্জিন সরকার।


৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা ভোটের পর সব একজিট পোলেই এগিয়ে রাখা হয়েছিল বিজেপিকে। শনিবার গণনা শুরু হতেই বোঝা যায়, একজিট পোলের সমীক্ষাই সত্যি হতে চলেছে। গেরুয়া ঝড়ে একেবারে পর্যুদস্ত হয়ে পড়ল আপ।


হ্যাটট্রিক করা হল না দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকে হেরে গেলেন তিনি। তাঁকে হারালেন বিজেপির প্রবেশ সিং। তাঁদের ভোটের ব্যবধান ৩,১৮২। জঙ্গপুরা কেন্দ্রে হেরে গেলেন মণীশ সিসোদিয়াও। প্রায় ৬০০ ভোটে তিনি হারলেন বিজেপির তারবিন্দর সিংয়ের কাছে। হেরে গিয়েছেন আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈনও। দিল্লির শকুর বস্তী কেন্দ্র থেকে সত্যেন্দ্র জৈনকে প্রায় ১৮ হাজার ভোটে হারিয়েছেন বিজেপির কর্নেল সিং। তবে কালকাজি কেন্দ্রে প্রায় ৪ হাজার ভোটে জিতে মানরক্ষা করলেন দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। পিছিয়ে থেকেও জয় তুলে নিলেন তিনি। শেষ রাউন্ড পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে রমেশ বিধুরীর।


দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র সন্দীপ দীক্ষিত নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনিও হেরে গিয়েছেন। 


প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে শেষবার দিল্লির মসনদে ছিল বিজেপি। শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সুষমা স্বরাজ। তার পর কংগ্রেস দিল্লির ক্ষমতা দখল করে। ২০১৩ সালে প্রথম বার ক্ষমতায় আসে আপ। ২০২৫ সালে আবার ফিরতে চলেছে বিজেপি। আর কংগ্রেস?‌ শূন্যের হ্যাটট্রিক করে ফেলল। এদিকে, রাত আটটা নাগাদ বিজেপি সদর দপ্তরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।