আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’, ১৯৯৩ সালের সফল ছবি ‘খলনায়ক’-এ এই গানে নাচ করেছিলেন খোদ মাধুরী দীক্ষিত। কথায় ও সুরে সারা দেশে ঢেউ তুলেছিল এই গান। সঙ্গে দেখা দিয়েছিল গানের শব্দ চয়ন নিয়ে প্রবল বিতর্কও। তিন দশক পেরিয়েও যে সেই বিতর্ক মেটেনি তার প্রমাণ পাওয়া গেল দিল্লির এক ঘটনায়। বিবাহবাসরে পাত্রী এই গানের সঙ্গে নাচ করায় বিয়েই ভেঙে দিল পাত্রের পরিবার।

গত ১৮ জানুয়ারির এই ঘটনা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে সমাজমাধ্যমে। সূত্রের খবর, বরযাত্রী কনের বাড়ির সামনে এসে পৌঁছতেই বেজে ওঠে গানটি। বরযাত্রীর সামনেই গানের তালে তালে নেচে ওঠেন খোদ পাত্রী। তাতেই বিপত্তি। বেঁকে বসেন পাত্রের বাবা। জানান, এই গান তাঁদের পারিবারিক সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না। তৎক্ষণাৎ ছেলেকে বিয়ে ভেঙে দিয়ে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। গোটা ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন পাত্রী। হবু বরও বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু যাবতীয় প্রচেষ্টাই বিফল হয়। পাত্রীর নাচে তাঁদের সম্মানহানি হয়েছে বলে দাবি করেন পাত্রের বাবা। ভবিষ্যতে যাতে আর তাঁদের সঙ্গে পাত্রী পক্ষের তরফ থেকে যোগাযোগ না করা হয়, সে কথাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। 

সম্প্রতি বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যম ‘এক্স’-এ। গোটা ঘটনায় দ্বিধা বিভক্ত নেটিজেনরাও। প্রসঙ্গত গানটি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। গানটিতে নারীদেহকে কুরুচিকর ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। গানটি নিয়ে কলম ধরেছিলেন স্বয়ং মহাশ্বেতা দেবী। স্তন্যদায়িনী ট্রিলজির অন্যতম বিখ্যাত গল্পে এই গানের অনুষঙ্গে এক আদিবাসি রমনীর ধর্ষণের কথা বর্ণনা করেন মহাশ্বেতা। গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক থেকে জাভেদ আখতার, বহু খ্যাতনামা মানুষই গানটির বিতর্কিত শব্দচয়ন নিয়ে মুখ খুলেছেন আগে। এ বার দিল্লির বিবাহকাণ্ড সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করল।