বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনায় একটা বিষয় আলোচনায় উঠে আসতে দিয়ে গিয়েছে, কোনও মহিলার শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ হলে বা তাঁকে হেনস্থা করা হলে তাঁর পোশাককে দায়ী করা হয়েছে। এমনকী টলিউডের খ্যাতনামা, বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মমতা শঙ্করও মহিলাদের পোশাক নিয়ে নানা সময় নানা কথা বলেছেন। এই বিষয়ে কোয়েলের কী মত? তিনিও কি মনে করেন মহিলাদের হেনস্থা হওয়ার নেপথ্যে তাঁদের পোশাক দায়ী? আজকাল ডট ইন-কে কী জানালেন 'মিতিন মাসি'?
এই বিষয়ে কোয়েল মল্লিক স্পষ্ট করে দেন বিষয়টা 'সংবেদনশীল'। তারপর তিনি ভেবে নিয়ে বলেন, "সবার নিজের নিজের মতো চিন্তা, ভাবনা আছে। কিন্তু আমার মনে হয় যে, একটা বেসিক সভ্যতার জায়গায় ভারতের লোক অনেকটাই পিছিয়ে আছে। শালীনতা, শিক্ষা এবং সভ্যতা তিনটের ক্ষেত্রেই পিছিয়ে আছে। আর এই তিনটে মিলিয়েই একটা দেশ সভ্য হয়। আমরা চিরকাল যে শুনে এসেছি, ভারত পিছিয়ে পড়া দেশ। তবে একই সঙ্গে এটাও বলব, আমেরিকাতেও হয়তো হয়, ইউরোপেও বহুবার হয়েছে। কিন্তু পার্সেন্টেজ হয়তো এতটা নয়, যেটা এখানে হচ্ছে। সবটাই হচ্ছে, সব বিষয় নিয়ে এত রাখঢাক, এত ট্যাবু এটার জন্যই।"
তিনি এদিন কথায় কথায় এটাও স্পষ্ট করে দেন মেয়েদের পোশাকের সঙ্গে তাঁদের হেনস্থা হওয়ার কোনও যোগ নেই। তাঁর কথায়, "আপাদমস্তক ঢাকা এবং না ঢাকা থাকার সঙ্গে অন্য মানুষটার কোনও কিছু করা, না করায় যে খুব একটা বেশি পার্থক্য পড়ে বা পড়ে না সেটা পুরোটাই সেই মানুষটার মানসিকতার উপরে নির্ভর করে। একটা মানুষ কী পরছে, কী পরছে না সেটার উপর নির্ভর করছে না।" কোয়েলের শেষ সংযোজন, "আমাদের সবার একটা সিক্সথ সেন্স কাজ করে। তার সঙ্গে শরীর সচেতনতাও খুব দরকার। সবার ক্ষেত্রেই দরকার। সেটা জরুরি। কিন্তু সবথেকে জরুরি, শালীনতাবোধ, সভ্যতা, শিক্ষা। আর এই তিন জায়গায় আমরা অনেকটাই পিছিয়ে আছি।"
প্রসঙ্গত, কোয়েল মল্লিককে দর্শকরা শেষবার দেখেছেন 'স্বার্থপর' ছবিতে। ভাই-বোনের সেই ছবিতে অভিনেত্রীর সঙ্গে ছিলেন কৌশিক সেন। বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা করেছিল ছবিটি। আগামীতে মুক্তি পাচ্ছে 'একটি খুনির সন্ধানে মিতিন'। 'মিতিন মাসি' ফ্র্যাঞ্চাইজির আগামী ছবিটি বড়দিনে মুক্তি পাচ্ছ। পরিচালনা করেছেন অরিন্দম শীল। এই ছবির সঙ্গে বক্স অফিসে মুখোমুখি হবে দেবের 'প্রজাপতি ২' এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'লহ গৌরাঙ্গের নাম রে' ছবির দুটির।
