আজকাল ওয়েবডেস্ক: তাঁরা কেউ কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন, কারওর গানই প্যাশন। কেউ আবার ফিন্যান্স বিভাগের পড়ুয়া। বয়স এখনও একুশ পার হয়নি। ফ্যাশন, 'র্যাম্প ওয়াক', সোনালি-রুপোলি মায়াবি আলোয় ফ্যাশনেবল পোশাক পরে হাঁটা-এই সব কিছুর সঙ্গে দূর-দূরান্তে পরিচয় নেই। কিন্তু তাতে কী! মঞ্চে তাঁদের আত্মবিশ্বাস, দক্ষতা, ব্যক্তিত্বের ঝলক যেন পেশাদার শোস্টপারকে জোরদার প্রতিযোগিতা দিতে পারে! সোমবার সন্ধ্যায় সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের এমনই ফ্যাশন শোয়ের দেখা মিলল ।
আকর্ষণীয় ক্যাম্পাস, দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দক্ষ ফ্যাকাল্টি সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে সার্বিকভাবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগড় সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেই প্রথমবার ছাত্রছাত্রীদের জন্য এক অভিনব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এসএনইউ আইকন ২০২৫। উপস্থাপনায় সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভাসির্টির সেন্টার ফর কর্পোরেট অ্যান্ড কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট বিভাগ। অনুষ্ঠানটির পার্টনার ছিল স্টাইল বাজার, এসপেরা, রোহিতস ডেন, হেড টার্নারস।
'এসএনইউ আইকন'-এ অংশ নেওয়ার জন্য প্রায় ১০০ জনেরও বেশি ছাত্রছাত্রী নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। যাদের মধ্যে ২০ জনকে নির্বাচন করা হয়। পাঁচ দিন ধরে চলে ওয়ার্কশপ। প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া উষসী সেনগুপ্তর তত্ত্বাবধানে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ২০ জন ছাত্রছাত্রীকে গ্রুমিং করানো হয়। সোমবার বর্ণালী সন্ধ্যায় সেই সকল ছাত্রছাত্রীরাই ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে ফ্যাশন শোয়ে হাঁটেন।
আর পাঁচটা ফ্যাশন শো-র চেয়ে ওয়ার্কশপে একেবারে অন্য ধারার গ্রুমিং করানো হয়। বাহ্যিক সাজের সঙ্গে চলে ছাত্রছাত্রীদের ব্যক্তিত্ব, ফিজিক্যাল-মেন্টাল ডেভলপমেন্ট। পড়ুয়াদের প্রবল আত্মবিশ্বাস, দৃঢ় ব্যক্তিত্বই ছিল এই ফ্যাশন শো-এর ইউএসপি।
বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন প্রাক্তন মিসেস ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল রিচা শর্মা, জিএম ফেয়ারফিল্ড ম্যারিয়ট,কলকাতা-র মনোজ জাঙ্গিদ, ফ্যাশন ডিজাইনার আয়ুস্মান মিত্র এবং এসএনইউ-র সেন্টার ফর কর্পোরেট অ্যান্ড কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট-এর বিভাগীয় প্রধান ঋতুপর্ণা সরকার। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিচারকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মুগ্ধ করেন ছাত্রছাত্রীরা। ফাইনাল পর্বের শেষ ধাপে ২০ জনের মধ্যে ১১ জনকে বাছাই করা হয়।
'এসএনইউ আইকন ২০২৫'-এ ছেলেদের মধ্যে প্রথম হন কৃষ্ণা জোশী, দ্বিতীয় অর্কদীপ মণ্ডল এবং তৃতীয় সীতাংশু ভারতী। অন্যদিকে, মেয়েদের মধ্যে প্রথম হন ফারহা নাজ আলি, দ্বিতীয় মেহেবুবা পারভিন, তৃতীয় তন্দ্রিলা কু্ডু। এছাড়াও মিস্টার ও মিস পার্সোনালিটি নির্বাচিত হন কৃষ্ণা জোশী ও ফারহা নাজ আলি। মিস্টার ও মিস কনজেনিয়ালিটি- সীতাংশু ভারতী ও মনামি নন্দী। মিস্টার ও মিস ট্যালেন্টেড- অর্কদীপ মন্ডল, প্রতিমা যোশী। মিস ও মিস্টার এলোকোয়েন্ট- জিদান হক, গ্রেস অ্যান্ড্রু। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিচারকরা।
