আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার প্রথম দফার মুলতুবির পর লোকসভার অধিবেশন বসার সঙ্গে সঙ্গেই লোকসভায় মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা ক্যাশ ফর কোয়েশ্চন কাণ্ড প্রসঙ্গে রিপোর্ট পেশ করেছিল এথিক্স কমিটি। রিপোর্টে এথিক্স কমিটি মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে সেকথা জানা গিয়েছিল আগেই। বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছিল, রিপোর্ট পেশের পরে পরেই তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, শুক্রবারেই সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে সাংসদ হিসেবে মহুয়া মৈত্রের পদ আর থাকবে কিনা তা। যদিও শুক্রবার সকালেও মহুয়াকে চেনা ছন্দেই দেখা গিয়েছিল। নজরুলের কবিতা থেকে মহাভারত একাধিক প্রসঙ্গ টেনে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মাথা নত করবেন না কিছুতেই। দ্বিতীয় দফার মুলতুবি শেষে মহুয়া ইস্যুতে কথা শুরু করেন লোকসভার স্পিকার। ওম বিড়লা বলেন, সংসদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে কখনও কখনও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তৃণমূল, কংগ্রেস সহ বিরোধীরা আগেই দাবি জানিয়েছিল, রিপোর্ট পড়তে সময় দেওয়া হোক কয়েকদিন। লোকসভার অধ্যক্ষ সভায় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট প্রসঙ্গে আধঘন্টা চর্চার সময় দেন। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ৪৯৫ পাতার রিপোর্ট ২ ঘন্টায় পড়া সম্ভব কীভাবে, সময় দেওয়া হোক অন্তত ৩-৪ দিন। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকেও বলার সুযোগ দেওয়া হোক বলে আর্জি জানান অধীর। একই কথা শোনা যায় কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারির গলাতেও। তিনি আরও বলেন, এথিক্স কমিটি শুধু সুপারিশ করতে পারে। সাজা কী হবে তা ঠিক করতে পারে না। অধীর চৌধুরী অধ্যক্ষের উদ্দেশে বলেন, এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যেন না নেওয়া হয়, যাতে কলঙ্কিত হয় নতুন সংসদ ভবন। মহুয়াকে যাতে বলার সুযোগ দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানিয়ে স্পিকারকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছেন বলেও খবর সূত্রের। সূত্রের খবর, তৃণমূল রিপোর্টের কপি চেয়েছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মহুয়াকে বলার সুযোগের আর্জি জানান সভায় চর্চার সময়। একই আর্জি জানান কল্যাণ ব্যানার্জিও। যদিও পুরনো উদাহরণ টেনে মহুয়াকে বলার অনুমতি দেননি স্পিকার। বিজেপি সাংসদের বক্তব্যে উঠে আসে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সময়ে ১১ সাংসদকে বহিষ্কার করার প্রসঙ্গ। ২০০৫ সালেও ওই সাংসদদের নিজেদের সমর্থনে বলতে দেওয়া হয়নি বলে সুর চড়ায় বিজেপি।