আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ বিষ দেওয়ার অভিযোগ। এই অভিযোগ তুললেন খোদ নোভাক জকোভিচ। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে সে দেশে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু করোনার টিকা না নেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ায় তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। একটি হোটেলে নিভৃতবাসে রাখা হয়েছিল জকোভিচকে। সেই সময় তাঁকে বিষ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা।


প্রসঙ্গত, আগামী রবিবার থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ড। টুর্নামেন্টে নামার আগে তিন বছর আগের কথা জানিয়েছেন জকোভিচ। সেবার জোকারকে অস্ট্রেলিয়া থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। মেলবোর্নে একটি হোটেলে নিভৃতবাসে রাখা হয়েছিল। ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল জকোভিচের। এটা ঘটনা, করোনার পরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক খেলোয়াড়কে করোনার টিকা নিতে হবে। কিন্তু ভ্যাকসিন নিতে চাননি জোকার। তা সত্ত্বেও বিশেষ ছাড় দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু জোকারের আচরণ মেনে নেয়নি অজি সরকার। ফলে দু’‌পক্ষের মধ্যে শুরু হয় আইনি টানাপোড়েন।


প্রথমে বাতিল করে দেওয়া হয় বিশ্বের তৎকালীন এক নম্বর টেনিস তারকার ভিসা। তারপর থেকেই তাঁকে অস্ট্রেলিয়া থেকে বের করার চেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু সেটা সম্ভব না হওয়ায় সার্বিয়ান তারকাকে রাখা হয় নিভৃতবাসে। মেলবোর্নের একটি হোটেলে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে আটকে রাখা হয় জকোভিচকে। শেষ পর্যন্ত ভিসা মামলায় অজি সরকারের কাছে হেরে যান তিনি। ডিটেনশন পর্ব শেষে অস্ট্রেলিয়া থেকে কার্যত তাড়িয়ে দেওয়া হয় জোকারকে। 


তাঁর কথায়, ‘‌তখন আমার কিছু শারীরিক সমস্যা হয়েছিল। মেলবোর্নে যে হোটেলে রাখা হয়েছিল, সেখানে আমার খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণেই শরীর খারাপ হয়ে যায়। জ্বরও হয়েছিল।’‌ 


এরপর সার্বিয়ায় ফিরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান জকোভিচ। সেখানে তাঁর শরীরে সীসা এবং পারদ পাওয়া গিয়েছিল। ভিসা সমস্যার কারণে দেশে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। তবে পরের বছর যদিও অস্ট্রেলিয়া ঢুকতে আর কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। জকোভিচ অস্ট্রেলিয়া যান এবং ১০তম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে নেন। কিন্তু ২০২২ সালের ঘটনা তাঁর মনের উপর একটা ছাপ ফেলে যায়। জকোভিচের কথায় ‘‌সেই ঘটনার পর থেকে  যত বার অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি এবং আমার পাসপোর্ট পরীক্ষা করা হয়েছে, তত বার ২০২২ সালের স্মৃতি ফিরে এসেছে। আমার এখনও অভিবাসন প্রক্রিয়ার সময় অস্বস্তি হয়। 


তবে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ তুললেও মেলবোর্নের হোটেলের বিরুদ্ধে বা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই বলে জানিয়েছেন জোকার। ওই ঘটনা তাঁর কাছে একটি মানসিক আঘাত হিসাবে রয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সার্বিয়ান তারকা।