আজকাল ওয়েবডেস্ক: নদীর ধারে পড়েছিল তরুণীর নিথর দেহ। শুধুমাত্র রক্তমাখা জামার ট্যাগ দেখে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মাত্র দু'দিনের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সি তরুণীর খুনের রহস্য ভেদ করল পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, ১৩ ডিসেম্বর ওড়িশার কটকের একটি নদীর ধারে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। ওই নদী থেকে রক্তমাখা জামা, প্যান্ট খুঁজে পাওয়া যায়। জামার গায়ে 'নিউ স্টার টেলরস' লেখা ছিল। সেই ট্যাগ ধরেই তদন্ত শুরু করা হয়। রাজ্যে ওই নামে একাধিক দর্জির দোকানের খোঁজ পাওয়া যায়। কিন্তু কোনওটির সঙ্গে ট্যাগের লোগোর মিল ছিল না। গঞ্জাম জেলার এক দর্জি পুলিশকে জানান, এই ধরনের ট্যাগ গুজরাটে ব্যবহার করা হয়। গুজরাট পুলিশের সহায়তায় সুরাটে এক দর্জির দোকানে খোঁজ করে পুলিশ।
সুরাটের ওই দর্জি জানান, বাবু নামের এক যুবক জামাটি বানিয়েছিলেন। ১০০ টাকা বাকি থাকায় তিনি ওই যুবককে অনলাইনে টাকা পাঠিয়েছিলেন। যে মোবাইল নম্বরে অনলাইনে টাকা পাঠিয়েছিলেন, সেই নম্বরে ফোন করে বাবুর সন্ধান পায় পুলিশ। জানা যায়, বাবুর আসল নাম জগনাথ। রবিবার তাঁকে রায়গড়ে চলন্ত ট্রেনের মধ্যে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দীর্ঘ জেরায় জগনাথ জানান, সম্পর্কে মৃত তরুণীর দেওর তিনি। খুনের ঘটনায় তাঁর দাদা এবং পিসতুতো ভাই জড়িত রয়েছেন। জগনাথ জানিয়েছেন, 'বৌদির সঙ্গে দাদার নিত্যদিন ঝামেলা হত। দাদার সন্দেহ ছিল, বৌদি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত রয়েছেন। পারিবারিক ঝামেলার কারণে বৌদিকে খুনের পরিকল্পনা করেন দাদা। ১৩ ডিসেম্বর বৌদিকে তিনজনে মিলে শ্বাসরোধ করে খুন করেন।'
