আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘাড়ের যন্ত্রণা সারাতে নেক টুইস্টিং মাসাজ করিয়েছিলেন জনপ্রিয় পপ গায়িকা। বারবার মাসাজ করাতেই ঘটল চরম পরিণতি। মাসাজের পরেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। একমাস তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করার পর শেষমেশ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গায়িকা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০ বছর বয়সি পিং চায়াদা থাইল্যান্ডের ব্যাংককে নেক টুইস্টিং মাসাজ করিয়েছিলেন। অক্টোবর মাসে পরপর তিনবার নামী মাসাজ পার্লারে গিয়ে ঘাড়ের যন্ত্রণা সারাতে মাসাজ করিয়েছিলেন। এরপর ক্রমেই তাঁর শরীরের বিভিন্ন দিক প্যারালাইজড হয়ে যায়।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন গায়িকা। জানিয়েছিলেন, প্রথমবার মাসাজের দু'দিন পর থেকেই ঘাড়ে আরও যন্ত্রণা বাড়ে। ধীরে ধীরে হাত, পা অবশ হয়ে যায়। এরপর ওষুধ খেয়ে যন্ত্রণা কমানোর পাশাপাশি আরও দু'বার মাসাজ করান। তৃতীয়বারের পরেই প্যারালাইজড হয়ে শরীরের একপাশ।
পিং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ক্রমেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। অবশেষে আইসিইউতে রাখা হয় তাঁকে। নভেম্বরের শুরুতে কোমায় চলে যান। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পপ গায়িকার মৃত্যুর পরেই শোরগোল পড়ে গেছে ব্যাংককে। জানা গিয়েছে, ওই মাসাজ পার্লারের সকলের লাইসেন্স রয়েছে। মাসাজে যথেষ্ট পটু তাঁরা। এই ঘটনার তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।
