আজকাল ওয়েবডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে, পাচারকারীরা আরও নতুন পদ্ধতি বেছে নিচ্ছে। আগে একটা সময় ছিল যখন কোনও পাত্রের মধ্যে বা মোড়কের মধ্যে দিয়ে অবৈধ মাদক বা বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করা হত। ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের ( ডিআরআই ) ২০২৩-২৪ সালের রিপোর্ট অনুসারে, চোরাচালানের জন্য বর্তমানে বেছে নেওয়া হচ্ছে শিশুদের গল্পের বই, পরচুলা এমনকী লেহেঙ্গা। 

 

 

২০২৩ সালের আগস্টে ডিআরআই কলকাতা বিমানবন্দরে ১.১০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করেছিল। গ্রেপ্তার করা হয় দু'জনকে। ওই মুদ্রা ব্যাংককে পাচার করার তালে ছিল দুষ্কৃতীরা। অভিযুক্তদের ল্যাগেজে ‘মেহেন্দির  প্যাকেটে’ মুদ্রা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তাদের জেরা করে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সেবার। 

 


একবার লেহেঙ্গার মাধ্যমে লুকিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানো হয়। ডিআরআই নয়া দিল্লি বিমানবন্দরের কুরিয়ার টার্মিনাল থেকে ৯৪ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা (সৌদি রিয়াল) বাজেয়াপ্ত করে। দুবাইতে রপ্তানি করা হচ্ছিল ওই লেডিস লেহেঙ্গা। তার মধ্যেই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল মুদ্রাগুলো। হাতেনাতে ধরে পুলিশ। 

 


এ বছরের মার্চ মাসে একটি অদ্ভুতভাবে পাচার ধরা পড়ে। গাড়ির স্টার্টার মোটরগুলিতে লুকোনো ছিল সোনার পেস্ট।  মুম্বইয়ে ডিআরআই ২ মার্চ, ২০২৪ -এ দুবাই থেকে আসা একটি কুরিয়ার চালান পরীক্ষা করে। অফিসাররা তিনটি গাড়ির স্টার্টার মোটরের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ১২টি গিয়ার উদ্ধার করে। যার একেকটি একটি নিকেল আবরণ সহ ২৪ ক্যারেট সোনার তৈরি, যার ওজন মোট ১৯৭৫ গ্রাম। সোনা খুব দক্ষতার সঙ্গে স্টার্টার মোটরের মধ্যে গিয়ার আকারে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। মোট সোনার পরিমাণের মূল্য ছিল ১.২৯ কোটি টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয় তা। 

 


একবার থার্মোকল বলের ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয় কোকেন উদ্ধার হয়। ১৪ জুন, ২০২৩ -এ, সাও পাওলো থেকে আসা একটি পার্সেল চেক করার সময় হদিশ মেলে কোকেনের। দিল্লি কুরিয়ার টার্মিনালে থার্মোকল বলের ভিতরে লুকিয়ে রাখা কোকেন আটক করা হয়েছিল। এছাড়া বাচ্চাদের গল্পের বই, চুলের পরচুলায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল কোকেন। ১৬ আগস্ট ২০২৩ -এ কোকেন সহ  একজন বিদেশি নাগরিককে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছিল। তাঁর চুলের পরচুলায় লুকোনো ছিল কোকেইন।