আজকাল ওয়েবডেস্কঃ বাড়ির ছাদ বা টবে টুকটাক সবজি বা ফলের চাষ এখন ট্রেন্ড। সখ পূরণ করতে সারাদিনের ব্যস্ততার সময় থেকে একটু ফুসরত নিয়ে বাগান করলে মনও ভাল থাকে। শীতে টব বা উঠোনে চাষ করা বেগুন গাছে দীর্ঘদিন বেগুনের ফলন না হলে মন খারাপের শেষ থাকে না। তাই এইসব উপায় মেনে চলতে পারলেই আপনার বেগুন গাছে ফলন বৃদ্ধি পাবে নিমেষেই।
বেগুন গাছের ডালপালা ছাঁটাই করে দিন। এটি গাছে নতুন শাখা গজাতে সাহায্য করে এবং নতুন ফুল ও ফল আনতেও সহায়ক।
প্রতি ১৫-২০ দিন পর পর বেগুন গাছের গোড়ায় জৈব সার বা পটাশ ও ফসফেট সার দিতে পারেন। তবে বেশি নাইট্রোজেন প্রয়োগ এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে গাছে বেশি পাতা গজাবে কিন্তু ফলন কমে যাবে।
বেগুন গাছকে নিয়মিত জলের চাহিদা পূরণ করতে হয়। তবে গাছের গোড়া শুকিয়ে গেলে বা অতিরিক্ত জল জমে গেলেও ফলন কমতে পারে। মাটি আর্দ্র রাখুন, কিন্তু খুব বেশি জল দেবেন না। সামান্য পরিশ্রমে বেগুন চাষ করা সম্ভব৷ তাই শীতকালে বেগুন চাষের একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।
ফলন না হলে সেই গাছে পোকামাকড়ের আক্রমণ বেশি হতে পারে। তাই নিয়মিত কীটনাশক বা জৈব কীটনাশক স্প্রে করুন। বিশেষ করে মাছি, থ্রিপস, জাব পোকা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
বেগুন গাছকে পর্যাপ্ত সূর্যালোকে রাখতে হবে। গাছের আশেপাশে যদি কোনো বাধা থাকে, তবে তা সরিয়ে গাছকে আলো-বাতাসে রাখুন। সঠিক পরিমাণে রোদ পেলে বেগুনের ফলন বাড়ে। পুরোনো, হলদে পাতা এবং অবাঞ্ছিত ফল ছেঁটে ফেলুন। এতে গাছে নতুন পাতা এবং ফুল আসা বৃদ্ধি পায়।
বেগুন গাছে মাঝে মাঝে নানা রোগ দেখা দেয়৷ নানা ছত্রাকে আক্রান্ত হয় বেগুন গাছ। গাছের গোড়া ও শেকড়ও বিবর্ণ হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয় বেগুন গাছে। এ রোগ হলে পাতা ঝিমিয়ে পড়ে এবং গাছ হেলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। এমনকী বেগুন গাছ মারাও যেতে পারে। এক্ষেত্রে গাছে রাসায়নিক ব্যবহার করা প্রয়োজন৷
