মিল্টন সেন, হুগলি: পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থেকে হাইজ্যাক হয়েছিল ১২ চাকার লরি। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের তৎপরতায় সেই লরি উদ্ধার হল হুগলির মগড়া থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থেকে একটি লরি হাইজ্যাক হয়। চন্দ্রকোণার ব্যবসায়ী বঙ্কিম ঘোষ ২৩ তারিখ গড়বেতা থানায় অভিযোগ জানান। অভিযোগে বলা হয়, তাঁর লরির চালক একটি ধাবায় খেয়ে ফিরে এসে দেখে লরি নেই। ধাবার সামনে রাস্তার ধারে পার্কিং করা ছিল বারো চাকার লরিটি। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের স্পেশাল অপারেশান গ্রুপের ওসি তারক সামন্তর কাছে খবর আসে একটি হাইজ্যাক হওয়া লরি হুগলিতে বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢুকেছে। সেই মত থানা গুলোকে বার্তা পাঠানো হয়। মগড়া থানা এলাকায় ঢোকা বেরোনোর রাস্তা গুলিতে শুরু হয় নাকা চেকিং। বৃহস্পতিবার রাতে সপ্তগ্রামের খেজুরিয়া এলাকায় জিটি রোডে নাকা তল্লাশি শুরু করেন মগড়া থানার পিসি পার্টির ইনচার্জ সানোয়ারউদ্দিন মোল্লা। সব লরিকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চলতে থাকে। পস মেশিনে গাড়ির কাগজ দেখে মালিককে ফোন করে জানতে চাওয়া হয় গাড়ির তথ্য। এভাবে যখন তল্লাশি চলছে তখন ডাবলু বি ৩৩ সি ২৮৮৮ নম্বরের লরিটি কিছুটা দূরে দাঁড় করিয়ে দরজা লক করে তিনজন গা ঢাকা দেয়। অফিসার গাড়ির নম্বর পস মেশিনে ফেলতেই মালিকের মোবাইল নম্বর সহ তথ্য জানতে পারেন। তিনি লরির মালিককে ফোন করে জানতে পারেন ওটাই গড়বেতা থেকে হাইজ্যাক হওয়া সেই লরি। মালিকের সঙ্গে কথা বলার পর মগড়া থানার ওসি দীপঙ্কর সরকারকে জানান। এরপর ওসি মগড়া গড়বেতা ওসির সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন লরি হাইজ্যাকের ঘটনা।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র জানিয়েছেন, এসওজি ওসির কাছে খবর আসা মাত্র থানার বিভিন্ন পয়েন্টে নাকা শুরু হয়। সাব ইন্সপেক্টর সানোয়ারউদ্দিন মোল্লা খুব ভাল কাজ করেছেন। না হলে হয়ত লরিটি বিক্রি হয়ে যেত। হাইজ্যাক হওয়া লরি ফিরে পেয়ে খুশি লরির মালিক। পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ছবি: পার্থ রাহা
