মিল্টন সেন, হুগলি:‌ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ। রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য চন্দননগর হাসপাতালে। মৃত ব্যক্তির নাম দীপক চৌধুরী (৩৪)। বাড়ি হুগলির ভদ্রেশ্বর তেলিনি পাড়া এলাকায়। মঙ্গলবার বুকে ব্যথা নিয়ে চন্দননগর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন দীপক চৌধুরী। সেই সময় এমার্জেন্সিতে কর্মরত থাকা চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে ইঞ্জেকশন দিয়ে ছেড়ে দেন। বাড়ি ফিরে পরে ফের শারীরিক অসুস্থতা বোধ করতে থাকেন দীপক বাবু। অভিযোগ, বুধবার সকালে পরিবারের তরফে পুনরায় তাঁকে আউটডোরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।

 

চিকিৎসক পরীক্ষা করার পর প্রাথমিক চিকিৎসা করে তাঁকে আবারও ছেড়ে দেন। এরপরই হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় হাসপাতালের গেটের সামনেই ফের অসুস্থতা বোধ করেন দীপক বাবু। তাঁকে ফের হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসক দীপক বাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার থেকে বারবার চিকিৎসককে জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি নেওয়ার জন্য। কিন্তু চিকিৎসক সেই কথায় কর্ণপাত করেননি। বারবার তাঁকে এমার্জেন্সি থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁকে চিকিৎসা করা হলে এই ঘটনা ঘটত না। অপরদিকে চিকিৎসক কুন্তল সাহা বলেন, মঙ্গলবার কি হয়েছে তিনি বলতে পারবেন না। বুধবার রোগী নিজেই হেঁটে তাঁর কাছে এসেছিল। যতটুকু চিকিৎসার প্রয়োজন তা করা হয়েছে। এর আগেও তাঁকে টিবি পরীক্ষার জন্য বলা হয়েছিল। তাঁর কাছে সেই রিপোর্ট দেখতে চাওয়া হয়। তিনি জানান রিপোর্ট এখনও আসেনি। তিনি দীপক বাবুকে বলেছেন, রিপোর্ট পেলে সেটা দেখিয়ে নিয়ে যেতে। এখন কি কষ্ট হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে রোগী জানান তাঁর কাশি হচ্ছে। সেই মতো তাঁকে চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় রোগী। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিবারের তরফে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে।