আজকাল ওয়েবডেস্ক:  নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়ল ৫০ শতাংশ। এর মধ্যে রয়েছে যক্ষ্মা, হাঁপানি, থ্যালাসেমিয়ার মতো রোগের ওষুধ। ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির চাপে পড়েই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি, এমনটাই জানিয়েছে তারা। খবর প্রকাশ্যেই আসতেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আচ্ছে দিনে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের দাম বাড়ছে। এ কেমন আচ্ছে দিন!

 

 

সাফাই হিসেবে বলা হয়েছে, ওষুধ তৈরিতে যে কাঁচামাল ব্যবহার করা হয় তার দাম বাড়ানো হয়েছে। তাই তারা বাড়াতে বাধ্য হয়েছে ওষুধের দাম। এর আগে ২০১৯ এবং ২০২১ সালে বাড়ানো হয়েছিল ওষুধের দাম। এর পর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্যারাসিটামল-সহ প্রায় ৮০০টি ওষুধের দাম এক ধাক্কায় বাড়ানো হয়। এবার বাড়ল আটটি ওষুধের দাম। এর মধ্যে রয়েছে, বেনজিলপেনিসিলিন, এট্রোপিন, স্ট্রেপ্টোমাইসিন, সালবুটামল, পিলোকারপিন, সেফাড্রক্সিল, ডেসফেরক্সামাইন আর লিথিয়াম। বেনজিলপেনিসিলিন মূলত নিউমোনিয়া, ডিপথেরিয়ার ক্ষেত্রে, এট্রোপিন মূলত ধীর হৃদস্পন্দনের জন্য, স্ট্রেপ্টোমাইসিন যক্ষ্মা ও ব্যাকটেরিয়াঘটিত সংক্রমণে, সালবুটামল অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, পিলোকারপিন চোখের ওষুধ, সেফাড্রক্সিল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ট্যাবলেট, ডেসফেরক্সামাইন থ্যালাসেমিয়া এবং লিথিয়াম মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।