শনিবার ০৩ মে ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
Pallabi Ghosh | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬ : ০৩Pallabi Ghosh
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রায় ৩০০ বছর আগে মুর্শিদাবাদের কাঞ্চনতলা জমিদার বাড়িতে শুরু হওয়া ২২ পুতুলের দুর্গাপুজো আজও মুর্শিদাবাদের দুর্গাপুজোর মানচিত্রে অন্যতম আকর্ষণ। প্রায় ৩০০ বছর আগে ঢাকার বিক্রমপুরের মারুচি গ্রামে 'বসু' পরিবারে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন রাঘবেন্দ্র রায়। পরবর্তীকালে এই পুজো স্থানান্তরিত হয় মুর্শিদাবাদের কাঞ্চনতলা গ্রামে।
বসু পরিবারের ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায় -তাদের পরিবারের সদস্যরা ঢাকার নবাবের দেওয়ান হিসেবে কাজ করতেন। নিজেদের ভাল কাজের জন্য নবাবের কাছ থেকে 'বসু' পরিবার পেয়েছিল 'রায়' উপাধি। তবে ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদ জেলাতে নবাবী স্থানান্তরিত হওয়ার পর নবাবের দেওয়ানরাও মুর্শিদাবাদে চলে আসেন। তৎকালীন মালদা-মুর্শিদাবাদ এবং রাজশাহী জেলার সংযোগস্থলে অবস্থিত দাওনাপুর নামে একটি স্থানে নিজেদের বাড়ি তৈরি করেন।
সেই সময়ে বাণিজ্যের জন্য গঙ্গার উপর দিয়ে যে সমস্ত নৌকা যেত তাদের থেকে খাজনা আদায় করা এবং নিরাপত্তা প্রদান করে সেই টাকা বাংলার নবাবকে নাজরানা হিসেবে জমা দিয়ে জমিদারি পেয়েছিল এই পরিবার।
তবে প্রত্যেক বছর বন্যার সময় দেওনাপুরের বিস্তীর্ণ অংশ প্লাবিত হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র নিরাপদ স্থানে তাঁদের জমিদার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময়ে নৌকা করে উঁচু জায়গা খুঁজতে গিয়ে তাঁরা কাঞ্চনতলার খোঁজ পান। জমিদার পরিবারের সদস্যরা যখন এলাকাটি দেখেন সেই সময়ে গোটা গ্রাম কাঞ্চন ফুলে ভরেছিল। সেই থেকে তাঁরা গ্রামের নামকরণ করেন কাঞ্চনতলা এবং সেখানেই নতুন জমিদার বাড়ি তৈরি করেন।
জমিদার পরিবারের দুই সদস্য জগবন্ধু রায় এবং ভগবতী রায়, নীল বিদ্রোহের পর ব্রিটিশরা দেশ ছেড়ে চলে যেতে শুরু করলে তাদের কাছ থেকে সাতটি নীল কুঠি কিনে নেন এবং জমিদারি আরও বৃদ্ধি করেন। যদিও ব্রিটিশরা এই পরিবারকে কখনই 'জমিদার' হিসেবে স্বীকার করতে রাজি ছিল না। সাঁওতাল বিদ্রোহের সময়ে বর্তমান ঝাড়খণ্ডের পাকুড়কে রক্ষা করে 'রায়' পরিবারের প্রতিপত্তি আরও বাড়ে। পরিবারের ইতিহাস বলে- ব্রিটিশদের সাথে এই জমিদার পরিবারের অহিনুকুল সম্পর্ক থাকলেও পরে দিল্লির দরবার থেকে তাঁরা নিজেদের 'জমিদারি' খেতাব ফিরে পেয়েছিলেন।
জমিদার পরিবারের বর্তমান সদস্য সুদীপ রায় বলেন, 'প্রায় ৩০০ বছর ধরে আমাদের পরিবারের দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। পরিবারের সদস্যরা দেশ বিদেশে যেখানেই থাকুক না কেন পুজোর দিনগুলোতে তারা মুর্শিদাবাদের কাঞ্চনতলার বাড়িতে অবশ্যই উপস্থিত হবেন।'
তিনি বলেন, 'শাক্ত মতে জমিদার বাড়িতে আজও দেবী দুর্গাকে পুজো করা হয়। আমরা দেবীপুরান মতে মা দুর্গার আরাধনা করি। এখানে দুর্গা প্রতিমার সাথে মোট ২২ জন বিভিন্ন দেবদেবী থাকেন। সেই কারণে অনেকের কাছে এই পুজো ২২ পুতুলের পুজো নামে পরিচিত।'
জমিদার বাড়ির এই পুজোতে দুর্গা মূর্তির সবথেকে উপরে দেখতে পাওয়া যায়, মকরবাহিনী গঙ্গা দেবীকে। তাঁর সাথে মহাদেব নিজের দুই সহচর নন্দী এবং ভৃঙ্গীকে নিয়ে উপস্থিত থাকেন। এছাড়াও দেবীর অকালবোধনকে স্মরণ করে মূর্তির সাথেই থাকেন রাম-লক্ষণ। দেবী মূর্তির পাশে দেখতে পাওয়া যায় মা তারা, নরসিংহ, জয়া বিজয়া সহ আরও একাধিক দেব-দেবীকে।
সুদীপবাবু বলেন, 'শাক্ত মতে অনুষ্ঠিত আমাদের পুজোতে সপ্তমী, সন্ধিপুজো এবং নবমীতে পাঁঠা বলিদান প্রথা আজও চালু রয়েছে। পুজোর দিনগুলোতে আমরা দেবীর উদ্দেশ্যে অন্ন ভোগ দিই না। তার পরিবর্তে মা দুর্গাকে ফল এবং অন্যান্য জিনিস ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয়। প্রাচীন প্রথা মেনে আজও শতবর্ষ প্রাচীন কাঠামোতে দেবী নির্মাণ হয় বাড়ির ঠাকুর দালানেই।'
তবে কাঞ্চনতলা জমিদার বাড়ির দুর্গা পুজোর অনন্য বৈশিষ্ট্য এখানে মন্ত্র ও স্তোত্র পাঠের মধ্যে দিয়ে পুজো শুরু হয় দুর্গাপুজোর আগের নবমী থেকে (এবছর এই পুজো আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে)। তবে প্রতিমাকে বেদীতে বসানো হয় পঞ্চমী অথবা ষষ্ঠীর দিন কোনও এক শুভ মুহূর্তে। জমিদার পরিবারের এই পুজোতে প্রজাদের জন্য সর্বদাই থাকত অবারিত দ্বার। জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় 'রাজা-প্রজা' একসাথে বসেই প্রসাদ খেতেন। তবে এখন আশেপাশের গ্রামে দুর্গা পুজোর সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে জমিদার বাড়ির পুজোতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
সুদীপবাব আরও বলেন, 'বহু বছরের রীতি মেনে দশমীর দিন আজও বেহারাদের কাঁধে চাপিয়েই দেবী প্রতিমাকে গঙ্গা নদীতে বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।'
নানান খবর

নানান খবর

দুষ্প্রাপ্য ব্রুনাই কিং আম পান্ডুয়ায়! শিক্ষকের ফলের বাগান দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে

কোথায় তৈরি হয়েছে এই হেরোইন! তাজ্জব পুলিশ, উদ্ধার প্রচুর সংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি

পালাতে গিয়েও হল না শেষরক্ষা, ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে নদীয়ায় বড় সাফল্য পুলিশের

অডিও রেকর্ডারই আশার আলো, মাধ্যমিকে ৫০০ পার করল দুই দৃষ্টিহীন ছাত্র

বসিরহাটের রেল বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন, ভস্মীভূত বহু বাড়ি

বিদ্যালয়ে প্রথম, জেলায় ছাত্রীদের মধ্যে সেরা, তবু মেধাবী থৈবির জন্য কাঁদছে স্কুল ও পরিবার

সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের জের, শহর কলকাতার এই রেস্তোরাঁগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দিল পুরসভা

গঙ্গার ইলিশের সঙ্গে এবার বাঙালির পাতে পড়তে চলেছে গঙ্গার গলদা চিংড়ি

ভাল রেজাল্ট হবে তো? ফল প্রকাশের কিছুক্ষণ আগেই চরম সিদ্ধান্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর

স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ পালন চন্দননগরে, শহরকে হেরিটেজ ঘোষণার উঠল দাবি

মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফরে বড়সড় বদল, নতুন সফরসূচি জানিয়ে দিল প্রশাসন

বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাতে অপহৃত কৃষক উকিল বর্মন, বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলেন রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি

শুধু সি-ফেসিং নয়, হোটেল হতে হবে মন্দির-ফেসিং, দিঘায় তুঙ্গে চাহিদা

বিজেপি বনাম বিজেপি, পশ্চিম মেদিনীপুরের রাস্তায় দুই গোষ্ঠীর মারপিট

আইএসসি পরীক্ষায় রাজ্যে দ্বিতীয় ও পঞ্চম স্থানে কোচবিহারের আত্রেয়ী-অনুষ্কা