আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে গঙ্গা ও যমুনা নদীর জলের স্তর বিপদসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় শহরের একাধিক অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই দুর্যোগের মধ্যেও সামনে এসেছে ব্যাতিক্রমী এক ঘটনা। এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, প্রবাহমান গঙ্গাজলের মধ্যে দাঁড়িয়ে এক পুলিশ অফিসার নিজের বাড়ির দরজায় গঙ্গার আরতি করছেন। বাড়ির সামনে বন্যার জলকেই গঙ্গা ভেবে নিয়ে পুজো করছেন তিনি। জানা গিয়েছে, চন্দ্রদীপ নিশাদ, যিনি একজন সাব-ইনস্পেক্টর এবং বর্তমানে এলাহাবাদ হাইকোর্টের এক বিচারপতির পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসার হিসেবে কর্মরত, নিজের বাড়িতে বন্যার জলের প্রবেশকে ‘মা গঙ্গার আগমন’ বলে মেনে নিয়েছেন।

?ref_src=twsrc%5Etfw">August 2, 2025

তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘সকালে যখন ডিউটিতে যাচ্ছিলাম, তখন মা গঙ্গা আমাদের দরজায় এসে পৌঁছালেন। আমরা তাঁকে প্রণাম ও পূজা করলাম। জয় গঙ্গা মাইয়া’। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ‘নিশাদ রাজ ভবন, মোরি, দরাগঞ্জ, প্রয়াগরাজ’ লেখা নামপ্লেট বিশিষ্ট বাড়ির বাইরে হাঁটু জলের মধ্যে তিনি দুধ ও ফুল দিয়ে গঙ্গার আরতি করছেন। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চন্দ্রদীপ নিশাদ নিজের ঘরের ভিতরে কোমর-জল পেরিয়ে ‘বিশ্বাসের ডুব’ দিয়ে গঙ্গার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। এই ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এবং মিশ্র প্রতিক্রিয়া জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ তাঁর ভক্তি ও আত্মসমর্পণের প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ কেউ রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতার দিকটি তুলে ধরে প্রশাসনের প্রতি প্রশ্ন তুলেছেন।

আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের জন্য প্রস্তুত করে দেওয়া হয় চার বছরের 'রোড ম্যাপ', নবাগতদের স্বাগত জানাতে এসআইটি-তে 'শুভারম্ভ ২০২৫'

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘এই মা গঙ্গাই যদি কোনও গরিবের ঘরে প্রবেশ করেন, তাহলে তাঁদের ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এটা দুঃখের বিষয়’। অন্য একজন লেখেন, ‘আমরা ভারতীয়রা এমন অসহায়তা ও দুর্নীতির সঙ্গে বাঁচতে শিখে গেছি। আগামী ৫০০০ বছরেও কিছুই বদলাবে না’। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই প্রয়াগরাজ এবং আশপাশের বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০০টিরও বেশি বন্যা ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে এবং জলের তলায় চলে যাওয়া এলাকা থেকে মানুষজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।