আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওভালে ইংল্যান্ড সিরিজের পঞ্চম টেস্ট একদম শেষ মুহূর্তে পৌঁছে গিয়েছে। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে দুই ইংরেজ ব্যাটার অলি পোপ এবং বেন ডাকেটকে সাজঘরে ফিরিয়েছে ভারত। দিনের প্রথম সেশনে অনবদ্য প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা এবং সিরাজ। আকাশদীপ উইকেট না পেলেও চাপে রেখে গিয়েছেন ব্যাটারদের। তবে বর্তমানে ভারতের মাথাব্যথার কারণ হ্যারি ব্রুক এবম জো রুট। ভারতকে চাপে ফেলতে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছেন দুই ব্যাটার। অল্প সময়ের মধ্যে ৫০ রানের পার্টনারশিপ হয়ে গিয়েছে দুই জুটির মধ্যে। ম্যাচে ফিরতে হলে এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে আউট করতে হবে সিরাজদের। এদিন দিনের শুরুতেই ওভারকাস্ট কন্ডিশন থাকায় সিরাজের একের পর এক বলে বারবার পরাস্ত হচ্ছিলেন ডাকেট। কোনওরকমে অর্ধশতরান করলেও তারপরেই তিনি শিকার হন প্রসিদ্ধর। পরপর কয়েকটা শর্ট অফ লেংথ বলের পর একটা ড্রাইভ করার বল করেন। তাতেই ফাঁসেন ডাকেট। সোজা দ্বিতীয় স্লিপে রাহুলের হাতে ক্যাচ দেন।

এরপর পোপও বেশিক্ষণ টেকেননি। সিরাজের বিষাক্ত নিপ ব্যাকার সোজা তাঁর প্যাডে লাগে। দোনোমনো করেও শেষ মুহূর্তে রিভিউ নিলেও তা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই যায়। তবে ভারতীয় বোলারদের ওপর চাপ দিতে কিছুক্ষণ পর থেকেই পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন ব্রুক। আকাশদীপ এবং প্রসিদ্ধের পরপর দুটো ওভারে ২৭ তোলে ইংল্যান্ড। কৃষ্ণার বলে বাউন্ডারি লাইনে সিরাজ হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ধরলেও পা বাইরে চলে যাওয়ায় বেঁচে যান ইংরেজ ব্যাটার। লাঞ্চে ইংল্যান্ডের রান তিন উইকেট হারিয়ে ১৬৪। চতুর্থ দিনের প্রতিটি সেশন ম্যাচ নির্ধারক। এক একটি উইকেট ঘুরিয়ে দিতে পারে ম্যাচ, অন্যদিকে, ইংল্যান্ড চাইবে নিজেদের বাজবল টেকনিক বজায় রেখে ম্যাচ জিতে নিতে। তৃতীয় দিনের শেষে ১৩.৫ ওভারে সিরাজ-ম্যাজিক দেখেছে ওভাল।

হায়দরাবাদি তারকা ইয়র্কার দিলেন ক্রলিকে। আগে খেলে ফেললেন ইংল্যান্ডের ওপেনার। ব্যাট-বলে হল না। সিরাজের ইয়র্কার ছিটকে দিল বেল। তার পরই রোনাল্ডোর মতো সিরাজের সেলিব্রেশন। শেষ বেলায় উইকেট নিয়ে সিরাজ কিন্তু ইংল্যান্ডের সাজঘরে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে দিলেন। ইংল্যান্ড চেয়েছিল উইকেট অক্ষত রেখে দিনটা শেষ করবে। সিরাজ ভেবেছিলেন অন্যকিছু। ওভালে ভারতের জিয়নকাঠি এখন সিরাজদের হাতে। অন্যদিকে ইতিহাস গড়ে জিততে হবে ইংল্যান্ডকে। তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান এক উইকেটে ৫০। জিততে হলে ইংরেজবাহিনীকে করতে হবে আরও ৩২৪ রান। হাতে রয়েছে আরও দু'দিন।

১৩.৫ ওভারে সিরাজ-ম্যাজিক দেখল ওভাল। হায়দরাবাদি তারকা ইয়র্কার দিলেন ক্রলিকে। আগে খেলে ফেলেন ইংল্যান্ডের ওপেনার। ব্যাট-বলে হল না। সিরাজের ইয়র্কার ছিটকে দিল বেল। তার পরই রোনাল্ডোর মতো সিরাজের সেলিব্রেশন। শেষ বেলায় উইকেট নিয়ে সিরাজ কিন্তু ইংল্যান্ডের সাজঘরে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে দিলেন। ইংল্যান্ড চেয়েছিল উইকেট অক্ষত রেখে দিনটা শেষ করবে। সিরাজ ভেবেছিলেন অন্যকিছু। ওভালে ভারতের জিয়নকাঠি এখন সিরাজদের হাতে। অন্যদিকে ইতিহাস গড়ে জিততে হবে ইংল্যান্ডকে। তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান এক উইকেটে ৫০। জিততে হলে ইংরেজবাহিনীকে করতে হবে আরও ৩২৪ রান। হাতে রয়েছে আরও দু'দিন। ওভালে সিরাজ নিলেন চার-চারটি উইকেট। বুমরাহ ছাড়া ভারতের বোলিং লাইন আপ অনভিজ্ঞ।

অনভিজ্ঞতায় মোড়া এই বোলিং শক্তির নেতা একজনই। তিনি মহম্মদ সিরাজ। ১৬.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৮৬ রানের বিনিময়ে চার-চারটি উইকেট নেন প্রথম ইনিংসে। দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে নেমে শেষবেলায় ইংল্যান্ডের সাজঘরে ঝাঁকুনি দিয়ে গেলেন সিরাজ। ইংল্যান্ডের মাটিতে যশস্বীর যশোলাভ হয়েই চলেছে। ১২৭ বলে একশো করেন তিনি। টেস্টে ষষ্ঠ শতরান। চলতি সিরিজে দ্বিতীয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ। লাঞ্চের পরপরই মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেন। তাঁর ব্যাটে ভর করে ওভালে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়াল ভারত। যশস্বী খেললেন ১১৮ রানের ইনিংস। আকাশদীপকে দ্বিতীয় দিনে নৈশপ্রহরী হিসেবে পাঠিয়েছিল ভারত। তৃতীয় দিনের ওভাল দেখল আকাশদীপ সত্যিকারের ব্যাটসম্যান। পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যানের মতো তিনি ইংল্যান্ড বোলারদের বিষ শুষে নিলেন। ৬৬ রানে ফিরে গেলেন। এটাই তাঁর টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান।