মোহনবাগান - (শিবাজিত)

ভবানীপুর - (জিতেন)

আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতা লিগের শুরুটা বাকি দুই প্রধানের মতো করতে পারল না মোহনবাগান। ঘরোয়া লিগের প্রথম ম্যাচেই আটকে গেল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। মঙ্গলবার ব্যারাকপুরের বিভূতিভূষণ স্টেডিয়ামে ভবানীপুরের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করল বাগান। কলকাতা লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে উয়াড়িকে হাফ ডজন গোল দেয় মহমেডান। প্রথম ম্যাচেই টালিগঞ্জ অগ্রগামীকে সাত গোলে উড়িয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল। সেই তুলনায় শুরুতে ম্লান সবুজ মেরুন ব্রিগেড। বড় ব্যবধানে জেতা দূর অস্ত, প্রথম ম্যাচেই পয়েন্ট খোয়াল বাগান। শুরুটা যদিও ভালই হয়। ম্যাচের দশ মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে দেন শিবাজিত সিং। ফ্রিকিক থেকে গোল করেন তিনি। কিন্তু বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি বাগান। সাত মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরায় ভবানীপুর। গোল করেন জিতেন মুর্মু। বিরতিতে স্কোরলাইন ১-১ ছিল। ভাগ্য সঙ্গ দিলে এদিন জিতেন হ্যাটট্রিক করতে পারতেন। এর থেকেই ম্যাচের গতিপ্রকৃতি স্পষ্ট। মরশুমের প্রথম ম্যাচে অগোছালো দেখায় মোহনবাগানকে। প্রস্তুতির বিশেষ সময় পাননি নতুন কোচ। তুলনায় অনেক সংগঠিত ফুটবল খেলে ভবানীপুর। বিরতির পর গোলের সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি কোনও দল। শেষ পাঁচ মিনিট ছাড়া বাগানের আক্রমণ ম্যাড়ম্যাড়ে ছিল। বর্ষাস্নাত ম্যাচে মোহনবাগানকে টেক্কা দিল ভবানীপুর। গোল হজম করার পর থেকেই আরও মরিয়া হয়ে ওঠেন জিতেনরা। সইফুল, উমের, জোজোর ত্রিভূজ আক্রমণে নাজেহাল বাগান রক্ষণ। ম্যাচের ১৭ মিনিটে উমরের সেন্টার থেকে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গোল জিতেনের। প্রথমার্ধের শেষে গুরুতর আহত হন সইফুল রহমান। ভবানীপুরের প্লেয়ারকে মাঠেই সিপিআর দেওয়া হয়। মাঠ থেকেই সরাসরি তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তবে ডেগি কার্ডোজোর দল নজর কাড়তে ব্যর্থ। গোটা ম্যাচেই অনেক সপ্রতিভ ফুটবল খেলে ভবানীপুর। শুধু শেষ পাঁচ মিনিট তেড়েফুঁড়ে খেলে সুহেল, টাইসনরা।‌ এই খেলাটাই যদি আগাগোড়া খেলতে পারত, তাহলে হয়তো তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার একটা সম্ভাবনা থাকত বাগানের।