বীরেন ভট্টাচার্য: লোকসভায় বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের মন্তব্য নিয়ে ধুন্ধুমার। আজ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সরকার এবং শাসক দল তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, একমাত্র লোকসভা এবং বিধানসভা ছাড়া কোনও নির্বাচন হয় না রাজ্যে। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে রাজ্যপাল, কোনও পদ বা প্রতিষ্ঠানকেই মানে না বাংলার শাসকদল। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জির, পরের বক্তা ছিলেন সৌমিত্র। শুরুতেই তিনি বলেন, "ভেবেছিলাম, রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বলব। যদিও পরিস্থিতি এমনই তৈরি হয়েছে, কিছু বিষয়ে বলতে হবে।" এরপরেই কল্যাণ ব্যানার্জির বক্তব্য ধরে তিনি লোকসভায় বলেন, নির্বাচন কমিশন রয়েছে বলেই রাজ্যে দুবার নির্বাচন হয়। কোনও পঞ্চায়েত বা পুরসভায় কোনও নির্বাচন হয় না বলে দাবি করেছেন সৌমিত্র খাঁ।

পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, দুই শতাধিক বিজেপি কর্মী, সমর্থককে খুন করেছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানাতে শুরু করেন সৌমিত্র। তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানায় তৃণমূল সহ বিরোধীরা। কল্যাণ ব্যানার্জি, মহুয়া মৈত্র থেকে শুরু করে অন্যান্য তৃণমূল সাংসদরা তীব্র প্রতিবাদ জানান। সৌমিত্র তথা সমগ্র ট্রেজারি বেঞ্চের সঙ্গে বিরোধী পক্ষের তীব্র বাদানুবাদে প্রবল বিশৃ্ঙ্খলা সৃষ্টি হয় লোকসভায়। সেই সময় সভা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন জগদম্বিকা পাল। তিনি উঠে দাঁড়িয়ে দুইপক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেন। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। পরে দুপক্ষ কিছুটা শান্ত হলে সৌমিত্র বলেন, "বাংলায় কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর কেন্দ্রে নির্বাচন হতে দেয়নি তৃণমূল। অন্যদিকে দিল্লিতে তারা ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছে।" জয় বাংলা স্লোগানের বিরোধিতা করেন সৌমিত্র অভিযোগ করেন, মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। যদিও সৌমিত্রের প্রতিটি অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানান তৃণমূল সাংসদরা।