নিতাই দে, আগরতলা: প্রতিদিন ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গাতে অবৈধভাবে আসা বাংলাদেশি আটক হচ্ছে পুলিশের হাতে। ত্রিপুরায় প্রধান রেল স্টেশন বাধারঘাট থেকে ২৮ জন বাংলাদেশিকে আটক করতে সক্ষম হল জিআরপি থানার পুলিশ। উল্লেখ্য গত ১৬ দিনে ১০ জন পুরুষ ও ১৮ জন মহিলা বাংলাদেশি নাগরিক সহ বর্ডার ক্রস করে ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করানোর দায়ে পাঁচজন ভারতীয় টাউটকে আটক করে পুলিশ। তবে কীভাবে বিএসএফের চোখে ফাঁকি দিয়ে এত পরিমাণে বাংলাদেশি ত্রিপুরাতে ঢুকছে তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
হিসাবে দেখা গেছে আগরতলা রেল স্টেশনে গত ১৪ জুন থেকে ২৯ জুন আজ পর্যন্ত ২৮ জন বাংলাদেশিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছেন জিআরপি থানার পুলিশ। তারা ত্রিপুরাকে কাজে লাগিয়ে আগরতলা বাধারঘাট রেলস্টেশন থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যায়। কিসের জন্য এত বাংলাদেশি ত্রিপুরা রাজ্য হয়ে রেলে করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যাচ্ছে তা যদি পুলিশ ভালোভাবে তদন্ত করে তাহলে প্রকৃত মূল সত্যটা সামনে আসবে। তবে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বাংলাদেশিরা জানায় কাজের সন্ধানে বাংলাদেশ থেকে বিনা পাসপোর্টে অবৈধভাবে ত্রিপুরা এসে তারা রেলে করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যায়। মহিলারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিউটি পার্লারে কাজের উদ্দেশে আসে বলেও পুলিশকে জানায় আটক বাংলাদেশিরা।
শনিবার বিকেলে একসাথে ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে জিআরপি পুলিশ। তাদের মধ্যে পাঁচজন মহিলা ও ছয় জন পুরুষ রয়েছে। তাদেরকে আটক করে জিআরপি থানায় নিয়ে গেলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে ১১ জন বাংলাদেশি বলে, তারা অবৈধভাবে বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশ থেকে বর্ডার পাস হয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করেছে। তারা ট্রেনে করে কেউ বেঙ্গালুরু, কেউ দিল্লি, কেউ চেন্নাই, কেউ কলকাতা, কেউ ওড়িশা যেতে চেয়েছিল বলেও পুলিশকে জানায়। পুলিশ বাংলাদেশি নাগরিক সুজন রানা, আজিজুল শেখ, মহম্মদ লিমন, নার্গিস আক্তার, মহম্মদ ইউসুফ আলি, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, নিপা মন্ডল, আঁখি বেগম, ওমি আক্তার, সজীব আলি, আসমা বিশ্বাস এই আটক ১১ জনের বিরুদ্ধে বিনা পাসপোর্ট আইনে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করার কারণে একটি মামলা করে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। আগামিকাল তাদেরকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ তাপস দাস।