করোনাকালে মানুষ নতুন করে জীবন চিনেছিল। বিশ্বযুদ্ধত্তোর পৃথিবী প্রথম পদানত অতিমারির কাছে। কে, কতক্ষণণ থাকবে, সবটাই যেন নিয়তি নির্ধারিত। যেখানে প্রেম, ক্ষয়-ক্ষতি, শিল্পের বিবর্তন ক্ষণিকের অতিথি। এই গল্প নিয়ে পুরস্কারজয়ী পরিচালক অশোক বিশ্বনাথনের আগামী ছবি "হেমন্তের অপরাহ্ন"। আইসিসিআর সভাগৃহে তারই পোস্টারমুক্তি জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক গৌতম ঘোষের হাতে। উপস্থিত ছিলেন অশোক বিশ্বনাথন, ছবির প্রযোজক অমিত আগরওয়াল, অভিনেতা এবং কলাকুশলীরা। 

ছবি সম্বন্ধে বলতে গিয়ে অশোক বলেছেন, “কলকাতা এবং আশপাশে শুট হয়েছে। কোভিড কালে কী ভাবে মঞ্চের মানুষেরা বাঁচার তাগিদে লড়াই চালিয়েছিলেন তারই দলিল এই ছবি। ছবিটি তাই আমার বুকের খুব কাছাকাছি। ভাললাগার আরও একটি কারণ, অমিতজি। ওঁর মতো প্রযোজক এই ছবির সঙ্গে জড়িত। যাঁর ঝুলিতে ‘এম. এস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি" এবং কঙ্গনা রানাউত অভিনীত "সিমরান"-এর মতো ছবি।" প্রযোজকের কথায়, যদিও ছবিতে এক বয়স্ক বিধবার নিঃসঙ্গতার যন্ত্রণা উঠে এসেছে। যা আগেও অনেক ছবিতে দেখানো হয়েছে। বাড়তি আকর্ষণ, লুইগি পিরানডেলোর একটি নাটক সমান্তরালভাবে ব্যবহার করেছেন।’’

ছবিতে বাবার পরিচালনায় অভিনয় করেছেন অনুষা বিশ্বনাথন। রয়েছেন ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, সত্যপ্রিয় মুখোপাধ্যায়। অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিদীপ্তা চক্রবর্তী। ছবিতে সুর করেছেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়। সিনেমাটোগ্রাফিতে জয়দীপ ভৌমিক। সম্পাদনায় জাতীয় পুরস্কারজয়ী অর্ঘকমল মিত্র। আদর্শ টেলিমিডিয়া এবং এভি প্রোডাকশনের যৌথ উদ্যোগে অমিত আগরওয়াল এবং অশোক বিশ্বনাথন ছবিটি প্রযোজনা করেছেন। জুনে মুক্তি পাচ্ছে "হেমন্তের অপরাহ্ন"।