আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিটি মুখের পিছনেই রয়েছে কিছু না কিছু গল্প। ভারতের মহিলা দলের প্রতিটি ক্রিকেটারের জীবনেই রয়েছে মন কেমনের অনেক গল্প। সেই গল্প প্রেরণা জোগায়। সেই গল্প চোখে জল আনে। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন দীপ্তি। দাদা সুমিত শর্মাই ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণা। উত্তরপ্রদেশের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে খেলেছেন সুমিত। দাদার সঙ্গে অনুশীলনে যেতেন বোনও।
একদিন অনুশীলনের সময় দীপ্তির কাছে চলে আসে বল। দূর থেকে তাঁর দাদার হাতে বলটি ছুড়ে দেন দীপ্তি। মাত্র ১২ বছর বয়সের বোনের হাতের জোর দেখে বিস্মিত হন দাদা।
সেই দীপ্তি কব্জির জোর দেখিয়ে ৫৮ রান করেন ফাইনালে। বল হাতে নেন পাঁচ-পাঁচটি উইকেট। এমন স্বপ্নের ফাইনাল খেলতে চান সবাই। প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ হন দীপ্তি। সেই দীপ্তি বলছেন, বিশ্বকাপ জয় তাঁর স্বাধীনতা হরণ করে নিয়েছে। তবে এমন স্বাধীনতা হরণ বারংবার হোক, এমনটাই চান দেশবাসী। দীপ্তি বলেছেন, ''যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, তখন আমার কাছে এটা স্বপ্নের মতো মনে হয়েছিল। কিন্তু বাড়িতে ফিরে আমি সত্যিটা বুঝতে পারলাম। মানুষজন এটা নিয়ে কথা বলতে শুরু করল। তখন মনে হয়েছিল এটাই বাস্তব। আগে আমি খুব সহজেই স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে পারতাম। শপিং মল এবং বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে পারতাম। কিন্তু এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। এখন আর আগের মতো বাইরে বেরোতে পারি না। এমনকী মাস্ক পরেও, লোকেরা আমাকে চিনতে পেরে যান। বিশ্বকাপ জয়ের পরে মহিলাদের ক্রিকেট আগের থেকেও জনপ্রিয় হয়েছে। এটি সত্যিই ভাল দিক। সেই সঙ্গে গর্বের মুহূর্তও। মানুষজন আমাকে চিনতে পারছেন এবং আমার কাজের প্রশংসা করছেন।''
তিনি আরও মনে করেন মহিলাদের বিশ্বজয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই দেশে। দীপ্তি বলেন, ''এই বিশ্বকাপের পর অবশ্যই অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। সবাই এই ট্রফির জন্য অপেক্ষা করছিল। ভারত সব কিছু জিতেছে, কিন্তু আইসিসি শিরোপা জেতেনি। অবশেষে আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি। মহিলা ক্রিকেট আগের থেকেও এগোবে। আরও বেশি করে টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে ম্যাচগুলো। ক্যালেন্ডার বছরে আমাদের ম্যাচের সংখ্যা বেড়েছে। এমনকি এখন টেস্টও হচ্ছে। খেলোয়াড়দের কেরিয়ার তৈরিতে ডব্লিউপিএলও বড় ভূমিকা পালন করেছে। আমার বিশ্বাস এই জয় আরও অনেক মেয়েকে ক্রিকেট খেলতে আগ্রহী করবে।''
