আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘরের মাঠে লজ্জাজনক ফলো অনের মুখে দাঁড়িয়ে টিম ইন্ডিয়া। তৃতীয় দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ভারতের রান ১৭৪। এখনও ৩১৫ রানে পিছিয়ে। ফলো অন বাঁচাতে আরও ১১৬ রান করতে হবে।গুয়াহাটিতে প্রথম ইনিংসে ৪৮৯ তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতের ইনিংস। একমাত্র যশস্বী জয়েসওয়াল ছাড়া কেউ রান পায়নি। আট নম্বরে নেমে ৩৩ রানে অপরাজিত ওয়াশিংটন সুন্দর। ভারত যদি ২৯০ রানের কমে অলআউট হয়ে যায়, তাহলে ফলো অনের বিকল্প থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। ঘরের মাঠে যা প্রায় বেনজীর। গত এক দশকে ঘরের মাঠে ফলো অনের সম্মুখীন হতে হয়নি। কিন্তু গুয়াহাটিতে সেটা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রথম সেশনে চার উইকেট তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। চায়ের বিরতির পর আরও তিন উইকেট নেয়। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, ফলো অন অবশ্যম্ভাবী। এবার ভারতের লোয়ার অর্ডারের ওপর নির্ভর করছে সেটা কতটা দেরী করা সম্ভব হয়। শেষপর্যন্ত সেটা হলে, ভারতের টেস্ট ইতিহাসে এই নিয়ে ঘরের মাঠে মাত্র চতুর্থবার ফলো অনের মুখে পড়বে ভারত। ১৫ বছরে প্রথমবার। কাকতালীয়ভাবে শেষবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ২০১০ সালে নাগপুরে ঘটেছিল। প্রোটিয়াদের ৬ উইকেটে ৫৫৮ রানের বিনিময়ে ২৩৩ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। ইনিংস এবং ৬ রানে হারে ভারত। এর আগে ২০০৩ সালে মোহালিতে ফলো অন হয় ভারতের। তার আগে ২০০১ সালে কলকাতায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফলো অনের মুখে পড়ে ভারত। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সেটাই ভারতের সবচেয়ে বড় কামব্যাক। দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে প্রোটিয়ারা। টেলএন্ডাররা বাঁচাতে না পারলে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
