আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্রিকেটের বাকি দুই ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়ে বর্তমানে শুধু একদিনের ক্রিকেটে খেলতে দেখা যায় বিরাট কোহলিকে।

ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট কোহলি কীভাবে পারফর্ম করবেন সেটা নিয়ে যাঁদের মনে খানিকটা সংশয় ছিল, তারা এখন নিশ্চিন্ত হতে পারেন।

বছরে দশটা ম্যাচ কিংবা পাঁচটা কিংবা একটা যাই হোক না কেন তিনি যখনই মাঠে নামেন, কোহলি নামেন শতভাগ প্রতিশ্রুতি নিয়ে, আর প্রস্তুতি থাকে তার চাইতেও বেশি।

আর সেই প্রতিশ্রুতিরই প্রমাণ মিলেছে রাঁচিতে। দীর্ঘ বিরতির পর প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নেমে তিনি ঝোড়ো সেঞ্চুরি ১৩৫ রান গড়ে দিলেন, যা ভারতের ১৭ রানের রোমাঞ্চকর জয়ের ভিত্তি তৈরি করে ১-০ লিড এনে দিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে।

আইপিএল শেষ হওয়ার পর থেকে কোহলি আর দেশে ছিলেন না। ছ’মাস লন্ডনে কাটিয়ে তিনি সরাসরি এসেছেন সিরিজে যোগ দিতে।

এত দীর্ঘ বিরতির পর ছন্দ খুঁজে পেতে সময় লাগবে এই ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন ৩৭ বছর বয়সী কোহলি। জেএসসিএ স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাটারদের সহায়ক হলেও, কোহলির অভিজ্ঞতা, মানসিক প্রস্তুতি ও মাংসপেশির স্মৃতি যেন মাঠে পা রাখতেই আবার জেগে উঠেছে।

পনেরো বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই উচ্চমানের পারফরম্যান্স ধরে রেখেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন পেসার ডেল স্টেইন জানিয়েছেন ম্যাচের আগের রাতেই তিনি কোহলির সঙ্গে দেখা করেন।

ভারতীয় তারকার কাছে জানতে চান, এখন তিনি যেহেতু কেবল একটি ফরম্যাট খেলেন তার প্রস্তুতি কীভাবে চলে।

কোহলির সঙ্গে সেই আড্ডার কথাই বলছিলেন স্টেইন ম্যাচের পরে সম্প্রচারকারীদের সঙ্গে কথা বলার সময়। স্টেইন বলেন, ‘ম্যাচের আগের রাতেই ডিনারে ওর সঙ্গে দেখা হয়। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম ‘এখন তুমি একটাই ফরম্যাট খেলো, কীভাবে প্রস্তুতি নাও?’ তখন সে বলল, ‘আমি এখন লন্ডনে থাকি। লর্ডস ও সারেতে দারুণ সুবিধা পাই, নিয়মিত অনুশীলন করি। একজন নির্দিষ্ট ট্রেনারের সঙ্গেও কাজ করি।’

স্টেইন আরও যোগ করেন, ‘কোহলিকে দেখলে বোঝা যায়, সে সবসময় দুর্দান্ত কন্ডিশনে থাকে। মানসিকভাবে ভীষণ শক্তিশালী। এতদিন ধরে খেলছে। এই সেঞ্চুরির আগেও ৫১টি ওয়ানডে শতরান।

ও নিজের খেলাটা খুব ভালো বোঝে। দলে এসে পুরোপুরি মনোনিবেশ করে। আর তখনই এমন পারফরম্যান্স দেখা যায়। এটিই প্রকৃত পেশাদারিত্ব।’

কোহলির এই শতরান ভারতকে ২৪৯/৮ পর্যন্ত নিয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত সেটাই ম্যাচ জয়ের মূল ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।